• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

গাইবান্ধায় ১২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার বিলে ৩টা থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। 

ঘাঘট নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন-ঝুঁকিতে রয়েছে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ। অতিবৃষ্টির কারণে এ বাঁধের বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত ও মাটি ধসে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় যে কোনো সময় বাঁধ ধসে জেলা শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন জনগণ। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হবার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া শহর রক্ষা বাঁধের  ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করা হচ্ছে। 

এদিকে মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা। এরমধ্যে ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা। গত ১৮ জুন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত আলী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে সরকারি হিসেবে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ওই চারটি উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিকটন চাল ও ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে এবং নতুন করে আরো বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৯০০ জন বন্যাকবলিত মানুষ বসবাস করছেন। 

এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ১০৫টি মেডিকেল টিম গঠনের কথা বলা হলেও মাঠে তাদের দেখা মেলেনি। তবে সিভিল সার্জন বলেন, মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ করছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here