• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

‘ডিজিটাল মার্কেটের বিকাশে সরকার হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আইসিটি রফতানি ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সারাদেশে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ‘বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরস’-এর ২য় সভায় এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

গত ১৩ বছরের ডিজিটাল বাজার থেকে আয়ের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালে আইসিটি রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য আমরা নির্ধারণ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি এটা আমরা করতে পারব। আর এ লক্ষ্য নিয়েই আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের তারুণ প্রজন্মের মেধা বিকাশ ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ আমাদেরকে করে দিতে হবে। কেননা তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে। যেজন্য তার সরকার নানা পদক্ষেপও নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। প্রযুক্তি আমাদের সেই সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করে দেয়। যে কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলাম এবং ’৯৬ সালে প্রথমবার সরকারে এসেই কম্পিউটার শিক্ষায় আমরা গুরুত্ব দেই। পাশাপাশি এনালগ টেলিফোনকে ডিজিটালে রূপান্তরসহ আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপনেও তার সরকার নানা উদ্যোগ নেয় এবং আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা ও সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বা আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নয়টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখানে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জন্য এরই মধ্যে ট্যাক্স মওকুফ, কাস্টম ডিউটি মওকুফসহ ১৪টি প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। হাই-টেক পার্কগুলোর বেসরকারি উদ্যোগে ২০২১ সাল নাগাদ ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আমি আশা করি। 

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশকে আইটি খাতে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য ৬৪ জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ও উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করেছে। পর্যায়ক্রমে যেখানে জেলাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেখানে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পায়।

সভায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here