• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ডায়াবেটিস থাকলে কী লিচু খাবেন?

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

গ্রীষ্মের মধুমাস এলেই ডায়াবেটিসের রোগীরা একটু মন খরাপ করে থাকেন। কারণ বাজারে এখন প্রচুর ফলের সমারোহ। ফলের রাজা আমের পর লিচু খাওয়া নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের থাকে আগ্রহ। কিন্তু মিষ্টি রসাল লিচু খাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকে কেউ কেউ। যদি ডায়াবেটিস বেড়ে যায়, অসুস্থ হয়ে পড়েন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস থাকলে লিচু খাওয়া ক্ষতিকর কিনা।     

ডায়াবেটিস রোগীরা যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে জেনে নিবেন সেই খাবারটির ক্যালরি মান কত, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড কেমন। লিচুতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০, যার ফলে লিচু খাওয়ার পর ধীরে ধীরে রক্তের মধ্যে সুগার প্রবেশ করে।

আর গ্লাইসেমিক লোডের পরিমাণ ৭.৬, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ বলা যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ডায়েটে ৪০ গ্রাম লিচু বা বড় আকারের ৬টি লিচু খেতে পাারেন। এর বেশি লিচু খেতে চাইলে অবশ্যই রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, সেই দিন তিনি অন্য খাবারগুলোতে কী পরিমাণ শর্করা গ্রহণ করেছেন। 
শর্করার মাত্রা বেশি থাকলেও লিচুকে মিষ্টি স্বাদ দেয় ফ্রুকটোজ। এ ক্ষেত্রে বিপাকের জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়ে না। ফলে মেপে খেলে সমস্যা নেই। শুধু ডায়াবেটিস রোগীই নয়, একজন সুস্থ মানুষেরও বেশি লিচু খাওয়া উচিত নয়, এমনটাই মনে করেন পুষ্টিবিদরা।

আর ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের দিকে লিচু খাওয়া ভালো। কারণ সে সময়ে বিপাক হার বেশি থাকে। তবে পেট ভরে অন্য খাবার খাওয়ার পর, কিংবা ঘুমতে যাওয়ার আগে এই ধরনের মিষ্টি ফল খেলে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। মনে রাখবেন অতিরিক্ত লিচু খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং সুগার লেভেল বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেটও খারাপ হতে পারে। তাই জেনে বুঝে নিয়ম মেনে তারপর পরিমাণমতো মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here