• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুকুরের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই যুবকের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস আজ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস লড়াইয়ের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ।

১৯৭১ এর এই দিনে কোম্পানি কমান্ডার বীর প্রতীক মাহবুব এলাহী রঞ্জুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসী ঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে। বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ ও তৎকালীন এসডিও মাঠ মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মিলন মেলায় পরিণত হয়।

এর আগে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বিকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মাদারগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর হয়ে গাইবান্ধায় প্রবেশ করে। তারা টিএন্ডটির ওয়্যারলেস ভবন দখল করে। পরবর্তীতে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে (বর্তমান শাহ্ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম) ঘাঁটি স্থাপন করে। এই ঘাঁটি থেকেই তারা শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন চালাতে থাকে। তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে অসংখ্য মানুষ ধরে এনে হত্যা করার পর মাটিতে পুঁতে রাখে। বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের পাশেও অসংখ্য মরদেহ পুঁতে রাখা হয়। তাই এই স্থানগুলো পরে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

এরমধ্যে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ অংশে এবং স্টেডিয়ামের বাইরে রেল লাইনের ধারে অসংখ্য মানুষ হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। প্রতি রাতেই স্টেডিয়ামের পাশে একটি গোডাউনের প্রাচীর ঘেরা এলাকায় দালালদের সহায়তায় অসহায় মানুষদের ধরে এনে পাকিস্তানি সেনারা তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করতো। বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের এখানে ধরে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হত। পার্শ্ববর্তী রেল লাইনের ধারেও গর্ত করে পুঁতে রাখা হতো মরদেহ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ শরিফুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো গাইবান্ধাতেও মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানি সেনাদের লড়াই অব্যাহত থাকে। ৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবরে আগের রাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বাহিনীর বিমান গাইবান্ধা রেলস্টেশনের উত্তর পাশে বোমা ফেলে। ফলে পাকিস্তানি বাহিনী ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং বিকেলে ট্যাংক নিয়ে মিত্রবাহিনী প্রবেশ করে শহরে। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব এলাহী রঞ্জুর নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ৭ ডিসেম্বর সকালে বিজয়ীর বেশে শহরে প্রবেশ করে।

তিনি আরও বলেন, গাইবান্ধার যুদ্ধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হলো-বাদিয়াখালীর যুদ্ধ, হরিপুর অপারেশন, কোদালকাটির যুদ্ধ, রসুলপুর স্লুইস গেট আক্রমণ, নান্দিনার যুদ্ধ, কালাসোনার যুদ্ধ।

এদিকে গাইবান্ধা হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here