• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেমন সুস্থ রাখেন, তেমন রোগ-বালাইও দেন। অনেক সময় পরীক্ষা নেয়ার জন্যও আল্লাহ তাআলা আমাদের রোগ দিয়ে থাকেন যেন আমরা আল্লাহকে মনে করি। ভুলে না যাই। 

এছাড়াও বিপদ-আপদে আল্লাহকে কতটুকু মনে রাখছি এটাও আল্লাহ দেখেন। রোগ হলে হয়তো সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু যিনি আমাদের রোগ দিয়েছেন, তার কাছে একবার হলেও কী আমরা রোগমুক্তির জন্য সাহায্য চেয়েছি? ডাক্তার তখনই আমাদের সাহায্য করতে পারবে যখন আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। তিনিই অসুখ সারানোর উসিলায় ডাক্তার দিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে এমন কিছু সূরা এবং আয়াত আছে যেগুলো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির জন্য আয়াতে শেফা স্বরূপ। তাই এ সব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি চাওয়া উচিৎ।

রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভে পূর্ব শর্ত হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর বিধানকে জানা এবং যথাযথ মানার পাশাপাশি পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা। নিম্নে সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভে জন্য আয়াতে শিফা বা সূরা আল-ফাতিহা তুলে ধরা হলো।

সূরা আল-ফাতিহা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 

‘আল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। আররাহমা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদুওয়া ইয়্যা-কা নাছতা‘ঈন। ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম। সিরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম । গাইরিল মাগদূ বি ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লীন’।

অর্থ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

‘যাবতীয প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে’। (সূরা: আল ফাতিহা)

আব্দুল মালিক ইবনে ওমায়ের (রহ.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূরা ফাতিহার মধ্যে সমস্ত রোগ হতে শেফা (আরোগ্য) রয়েছে। (দারেমি)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না’। (বুখারি ৬৩৪০)

হাদিসে আরো এসেছে, জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে’। (তিরমিজি)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে’। (তিরমিজি ৩৩৮২)

সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না’। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)

Place your advertisement here
Place your advertisement here