• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২৯০। মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে।

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের সানজিদা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের সানজিদা                      
বিবিসির তৈরি করা ২০২২ সালের বিশ্বে অনুপ্রেরণাদায়ী এবং প্রভাবশালী শীর্ষ ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া। ময়মনসিংহের নান্দাইলের তার গ্রামের বাড়ি। কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।

মনোনীত ১০০ নারীকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসি একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বের রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, অধিকার আন্দোলন, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান প্রভৃতি শাখায় এসব নারীকে নতুন তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাক্টিভিজম ও অ্যাডভোকেসি শাখায় রয়েছে সানজিদা ইসলাম ছোঁয়ার নাম।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। বাল্যবিয়ে থেকে মেয়েদের কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া।

একটি স্কুলের উপস্থাপনায় বাল্যবিয়ের নেতিবাচক প্রভাব দেখে অনুপ্রাণিত হন ছোঁয়া। এরপর এটি বন্ধে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাল্যবিয়ের ঘটনা কানে এলেই বন্ধু, শিক্ষক ও সহযোগীদের নিয়ে পুলিশকে জানান তিনি। এজন্য ‘ঘাসফড়িং’ নামে সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন ছোঁয়া।

ছোঁয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি মনে করি, অল্প বয়সে বিয়ে করা খাঁচায় বন্দি জীবনের মতো। ময়মনসিংহে আমার আশেপাশে একসময় বছরে ৪০-৫০টির মতো বাল্যবিয়ের ঘটনার কথা জেনেছি। তবে এখন সেই সংখ্যা ২-৩টিতে নেমে এসেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে আমরা ঘাসফড়িং থেকে যেভাবে কাজ করে এসেছি তাতে শতভাগ না হলেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছি।’

এ নিয়ে দশমবারের মতো বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসি। চলতি বছরের মনোনয়ন তালিকার জন্য যোগ্য নারীদের মনোনীত করতে আগে নির্বাচিত ১০০ জন নারীর মতামত নিয়েছে বিবিসি। তালিকায় ইরানে মাহসা আমিনি হত্যার প্রতিবাদে নারীদের সোচ্চার হওয়া এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে নারীদের দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দেওয়ার ভূমিকা প্রতিফলিত হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here