• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুয়াশাচ্ছন্ন সৈয়দপুরে জবুথবু জনজীবন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আবারও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরসহ উত্তরাঞ্চল। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ১০টায় এখানে তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে নীলফামারী জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

কুয়াশার আধিক্যের কারণে সামান্য দূরত্বে দেখা না যাওয়ায় শহরের ভিতরেও দুপুর পর্যন্ত লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। মহাসড়কে ধীর গতিতে চলছে বাস ট্রাক। শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামায়। ট্রেনগুলোতেও ৫ থেকে ৭ ঘন্টা বিলম্বের কারণে দূর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

শৈত্য প্রবাহ প্রবল না হলেও কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করায় তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। একান্ত জরুরী না হলে বাইরে বের হচ্ছেনা লোকজন। কিন্তু রিক্সা ভ্যান চালকসহ দিনমজুর শ্রেণীর কর্মজীবী মানুষেরা বাধ্য হয়ে কর্মে যোগ দেয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সবচেয়ে দূরাবস্থায় ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও পথে প্রান্তরে বসবাসকারী এসব মানুষ টিকে থাকার প্রাণপণ লড়াই করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনেকটা কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। একদিকে আয় না হওয়ায় খাদ্যাভাবে না খেয়ে কাটাতে হচ্ছে। অন্যদিকে গরম কাপড় না পেয়ে কষ্ট পোহাচ্ছেন।

এদিকে গরম কাপড়ের বাজারে ক্রেতা সমাগম হলেও অন্যান্য পণ্যের দোকানে বিক্রিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তবে চায়ের দোকানগুলোতে ভীড় বেড়েছে। সেইসাথে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে ও ওষুধের দোকানেও জন উপস্থিতি বেড়েছে। শীত নিবারণে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার প্রচেষ্টাও চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে ১০ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। আজ মঙ্গলবার তা আরও কমে ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ নানা রোগ। প্রতিদিন প্রায় ২ শতাধিক মানুষ ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।

কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। রাতদিন শিশিরে ভিজে নষ্ট হচ্ছে ফসলের। অনেকে সকালে চারার শিশির ঝরাতে মই চালান, ছাই ছিটানোসহ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছেন। আলুক্ষেতেও দেখা দিয়েছে পাতা মোড়ানো, গোড়াপঁচাসহ নানা সমস্যা। একারণে বার বার ওষুধ ছিটিয়েও রেহাই মিলছেনা। এভাবে কুয়াশা পড়া অব্যাহত থাকলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। 

দুপুরে সূর্যের মুখ সামান্য দেখা গেলেও রোদে তাপ না থাকায় বেলা ৩ টার পর থেকে আবারও ঠান্ডার প্রভাব প্রকট হচ্ছে। এতে দিনেরাতে প্রায় ২০ ঘণ্টাই শীত বিরাজ করছে। ফলে সব মিলিয়ে মাঘের শীতে কুপোকাত হয়ে পড়েছে সৈয়দপুর তথা নীলফামারী জেলাসহ উত্তরাঞ্চলের জনপদ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here