• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রমজানে পাঁচ নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে, যার পরিমাণ গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় অনেক বেশি। চিনি, ছোলা, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুর- এই পাঁচ পণ্যের চাহিদা রমজান মাসে বাড়ে। সেটিকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে।

এলসি খোলা নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগকে “ভিত্তিহীন”দাবি করে এসব তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, “পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতেও আমরা বিশেষ নজর রেখেছি। গত নভেম্বর মাস থেকে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।

তিনি জানান, রমজান মাসে ৫টি পণ্যের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। আর বাজার স্বাভাবিক রাখতে এসব পণ্য আমদানিতে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫.৬৬ লাখ মেট্রিক টন চিনির এলসি খোলা হয়েছে। এক বছর আগের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫.১১ লাখ মেট্রিক টন। সুতরাং এ বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন বেশি চিনির এলসি খোলা হয়েছে।

মেজবাউল হক বলেন, আগের বছরের জানুয়ারির তুলনায় গত মাসে ছোলা বাদে বাকি পণ্যগুলোর জন্য এলসি খোলা বেড়েছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল ৩৯ হাজার টন, পেয়াজ ৬.৩৩ হাজার টন ও খেজুরের এলসি খোলা বেড়েছে ১৩ হাজার টন। গতবছরের জানুয়ারির তুলনায় ছোলার এলসি কম খোলা হয়েছে ৪১ হাজার টন।

তবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের এই তিন মাসে ভোজ্যতেল আমদানির জন্য ৪.৯২ লাখ মেট্রিক টনের এলসি খোলা হয়েছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে ৩.৫১ টনের এলসি খোলা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় দেড় লাখ টনের এলসি খোলা কমেছে। ভোজ্যতেলের চাহিদার একটা অংশ মেটানো হয় আমদানি করা বীজ থেকে তেল উৎপাদন করে। ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরে মাত্র ৭৮ হাজার টন সয়াবিন বীজের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে প্রায় ৫ গুণ এলসি খোলা হয়েছিল।

একইভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের তুলনায় গতবছরের একই সময়ে, চিনির এলসি খোলা কমেছে ১.৪৮ লাখ টন, ছোলার কমেছে ৬৮ হাজার টন এবং খেজুরের কমেছে ১০ হাজার টন। অবশ্য এই সময়ে পেঁয়াজের এলসি খোলা ৫ হাজার টন বেড়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here