– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
  • সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩০

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
স্বাধীনতার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে: রাষ্ট্রপতি চিনিকলগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: শিল্প সচিব পার্বত্য অঞ্চল স্মার্ট জন সম্পদে পরিণত হবে: বীর বাহাদুর উশৈসিং গাইবান্ধায় অটোরিকশার চাপায় শিশুর মৃত্যু এখন ঢাকা শহর এলেই সিঙ্গাপুর দেখতে পাওয়া যায়: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্বামীর সংসারের হাল ধরছেন হাজারো নারী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দেশের উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের হাজারো নারী পাথর শ্রমিক। তবে সংসারে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ঘরের কাজ সেরে জীবিকার জন্য মাঠে নেমে পড়েন নারী শ্রমিকরা। অনেক ক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে নিগৃহীত হচ্ছেন তারা।

এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের অভাব থাকায় শ্রমিকরা বাধ্য হয়েই কম মজুরিতেই পাথর ভাঙার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। তারা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। কাজ হারানোর ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

বাংলাবান্ধা ও মহানন্দা নদীর উত্তোলনকৃত পাথরের সাইডে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পাথর ভাঙার কাজ করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কাজ করে একজন মজুরি পান ৩০০-৩৫০ টাকা।

জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের যোগান দিতে পঞ্চগড়ে দিনদিন নারী শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংসারের চাহিদা ও ভরণপোষণের জন্য ঘরের কাজ সেরে জীবিকার তাগিদে নারীরা নেমে পড়েন মাঠে ঘাটে। অনেক ক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে নিগৃহীত হচ্ছেন তারা। এমনই হাজারো পাথর ও চা নারী শ্রমিক  বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের কষ্টের কথা কেউ শোনে না।

নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার নারী শ্রমিক পাথর ভাঙা, প্রক্রিয়াকরণ, সমতলের চা বাগানে পরিচর্যার কাজে, চা-পাতা সংগ্রহ, চা কারখানায়, ভবন নির্মাণে ও কৃষি কাজে নারীরাও পুরুষদের পাশাপাশি সমানতালে পঞ্চগড় জেলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করেই যাচ্ছে। এখানকার নারী শ্রমিকরা প্রতিদিনই পুরুষের পাশাপাশি সমানভাবে কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে কম মজুরি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে অনেকে।

পাথর ভাঙা শ্রমিক রেহানা বেগম  বলেন, আমি ৯ বছর ধরে পাথর ভাঙার কাজ করছি। আগে সবারই মজুরি কম ছিলো। তখনো আমাদের নারী-পুরুষের মধ্যে মজুরি পার্থক্য ছিলো। এখন মজুরি কিছুটা বেড়েছে কিন্তু আমরা পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করেও মজুরি কম পাচ্ছি।

পাথর ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক জানান, মহানন্দা নদীর পাথর কমে যাওয়ায় পাথর ক্র্যাশিং এর কাজ কোনো রকমে চলছে। পুরুষরা কাজ তাড়াতাড়ি করতে পারে সেই তুলনায় নারীরা তা পারে না। তাই পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারী পাথর শ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়া হয়।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা বলেন, নারী-পুরুষ সমন্বয়ে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রান্তিক পর্যায়ে পাথরের ক্র্যাশিং সাইডগুলোতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি।

নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরুষ শ্রমিকরা ভারী কাজগুলো করে, তাই তাদের বেতন বেশি। কিন্তু নারী শ্রমিকরা শুধু দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন।' সেই হিসেবে মজুরি দেওয়ার সময় তাদের (নারীদের) বৈষম্যের শিকার হতে হয়। আমরা চাই, এই ধরনের মানসিকতা থেকে সমাজ মুক্তি পাক।

তেঁতুলিয়া উপজেলা ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, পাথর শিল্পে নারী পুরুষের মধ্যে আমরা একটা প্রার্থক্য লক্ষ্য করি। পুরুষ শ্রমিকরা যে মজুরি পায় নারী শ্রমিকরা তার থেকে কম পায়। আমি মনে করি এ ধরনের প্রার্থক্য থাকা উচিত না।

Place your advertisement here
Place your advertisement here