• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল পেলেন ২ বাংলাদেশি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী দুই বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সংস্থাটির মহাসচিবের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী দুই বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান ও ল্যান্সকর্পোরাল মো. রবিউল মোল্লা এ মেডেল পান।

মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক’এ নিয়োজিত মিনুসকা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন। দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন ল্যান্স কর্পোরাল রবিউল মোল্লা।

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন মেডেলগুলো নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

রাবাব ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে।

এবারের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী ৪২টি দেশের ১১৭ জন শান্তিরক্ষীকে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের মেডেল তুলে দেন।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে রক্ষিত শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শোকবার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ব শান্তির জন্য পবিত্র দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ তার অনেক সাহসী সন্তানকে হারিয়েছে। শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সকল বীর শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। অপূরণীয় এ ক্ষতির জন্য নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাবাব ফাতিমা।

মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানের পর কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী সব শান্তিরক্ষীদের সম্মানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তর লনে অবস্থিত শান্তিরক্ষী মেমোরিয়াল সাইটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও জাতিসংঘ সদরদপ্তরে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে শান্তিরক্ষী মেমোরিয়াল সাইটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জনগণ শান্তি অগ্রগতি : অংশীদারিত্বের শক্তি’।

দিবসটিতে প্রতি বছর শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি এবং যারা শান্তির জন্য জীবন হারিয়েছেন তাদের মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল দিয়ে পবিত্র স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।

স্থায়ী মিশন জানায়, বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০২ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯টি মিশনে কর্তব্যরত আছেন। দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করেছেন ১৬১ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী।

করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর আবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সশরীরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হলো।

Place your advertisement here
Place your advertisement here