• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তিন যুগের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সংবলিত দিনাজপুরের রাজবাড়ি 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দিনাজপুর শহর থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বটতলা মোড়ের কাছে নিরিবিলি পরিবেশে হিন্দু, মুসলিম ও ইংরেজ এই তিন যুগের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য সংবলিত রাজবাড়িটির অবস্থান। স্থানীয় মানুষের কাছে এটি ‘রাজবাটি’ নামে পরিচিত।

পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধে ইলিয়াস শাহীর শাসনামলে রাজা গণেশ এই বাড়ির স্থপতি। রাজা দিনরাজ ঘোষ গৌড়েশ্বর গণেশ নারায়ণের অন্যতম রাজকর্মচারী। তিনি ছিলেন উত্তর রাঢ়ের কুলীন কায়স্থ। রাজা দিনরাজের নাম থেকেই রাজ্যের নাম হয় ‘দিনরাজপুর’, যা বারেন্দ্র বঙ্গীয় উপভাষায় পরিবর্তিত হয়ে হয় দিনাজপুর। গৌড় সংলগ্ন সনাতনী রাজ্য দিনাজপুর পাঠান, মুঘল ও নবাবদের বহু যুদ্ধে পরাস্ত করে এসেছে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরী দিনাজপুরের জমিদার হন।

রাজবাড়িটির বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। গুটিকয়েক স্থাপনার মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ির প্রবেশপথে পশ্চিমমুখী একটি মিনার আকৃতির বিশাল তোরণ। রাজবাড়ির সীমানার মধ্যে তোরণের কিছু দূরে বামদিকে উজ্জ্বল রঙের কৃষ্ণ মন্দির এবং ডানদিকে রাজবাড়ির বহিঃমহলের কিছু ধ্বংসাবশেষ আছে। রাজবাড়ির সীমানার ভেতরে আরেকটি তোরণ আছে, যার মাধ্যমে রাজবাড়ির প্রধান বর্গাকার অংশে প্রবেশ করা হয়। রাজবাড়ির প্রধান অংশের পূর্বদিকে সমতল ছাদবিশিষ্ট আরেকটি মন্দির আছে। যেখানে রয়েছে অনেক হিন্দু দেবতার প্রতিমা। রাজবাড়ি প্রধানত তিনটি মহল বা ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত—আয়না মহল, রানি মহল ও ঠাকুরবাটি মহল। আরো কিছু অপ্রধান স্থাপনা আছে, যা জমিদার পরিবারের বিভিন্ন রাজা ও উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত।

রাজবাড়ির মূল অংশে দুটি পুকুর রয়েছে, যার একটি ‘রানিপুকুর’ নামে পরিচিত। রাজবাড়ির পিছনে আরো দুটি বিশালাকৃতির পুকুর (পদ্মপুকুর ও সুখসাগর) রয়েছে। আছে ‘হিরাবাগান’ নামে একটি মাঠ। বর্তমানে রাজবাড়িটিকে দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সামনের অংশ অর্থাত্ মন্দির অংশে প্রতি বছর কান্তজিওঁ ও দুর্গাপুজা করা হয়। এই অংশটি রাজদেবত্তর এস্টেট নামে মন্দির কমিটি দ্বারা সংরক্ষিত।

অপর অংশ অর্থাত্ আয়না মহল ও রানি মহল ধ্বংসপ্রায়; যেখানে প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী ও কারুকার্য এখনো দেখা যায়। লোহার তৈরি কলাম ও বিমগুলো চুরি হয়ে গিয়েছে। পুরো জায়গাটি আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল ও অন্যান্য জংলিগাছ দ্বারা আ

Place your advertisement here
Place your advertisement here