• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

ছেলের চেয়ে ফালুই বেশি খোঁজ নিচ্ছেন অসুস্থ খালেদার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার অসুস্থতার বিষয়ে জানতে পরিবার ও দলের অনেকেই হাসপাতালে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন দুবাই প্রবাসী তার সাবেক একান্ত সচিব ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আলী ফালু।

অন্যদিকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ বিষয়ে অনীহা রয়েছে। খালেদা জিয়ার নিজের ছেলে তারেক রহমান, তার পুত্রবধূ ও অন্য আত্মীয়-স্বজনরা সপ্তাহে মাত্র দু-একবার তার খোঁজ নিয়েই দায় সারছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গত ৭২ ঘণ্টার যে হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে দুবাই থেকে মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৫ বার ফোন করেছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি প্রতিদিনই সকাল, দুপুর ও বিকেলে নিয়ম করে টেলিফোন করেন। এছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথাও বলেন। 

অন্যদিকে তারেক জিয়া গত ৭২ ঘণ্টায় মাত্র দুইবার টেলিফোনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে খালেদার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা আগে দেখভাল করলেও বিএনপি নেতারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি গত ২৪ ঘণ্টায় একবারও খালেদা জিয়ার খোঁজ নেননি।

সর্বশেষ বাংলাদেশ সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছিলেন ডা. জোবায়দা। সে সময় চিকিৎসকদের একটি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো সম্পর্কে জানতে চান তিনি।

ডা. জোবায়দা যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে চিকিৎসকদের সঙ্গে আবার আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র একজন নেতা বলেন, কে কতবার খালেদা জিয়ার খোঁজ নিয়েছেন, এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলেও এর মাধ্যমে এক ধরনের আবেগ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যারা খালেদা জিয়ার প্রতি আন্তরিক ও ভালোবাসা অনুভব করেন, তারাই তো নিয়মিত খোঁজখবর নেবেন। 

খালেদা জিয়ার শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজখবর ছেলে তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে নেবেন, এটাই তো স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক মতবিরোধ ও পারিবারিক সম্পত্তিসহ নানা দ্বন্দ্বের ফলে নিজের মায়ের খোঁজ নিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন তারেক। 

আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আবারো প্রকাশ্যে এসেছে। আর সব কিছু ছাপিয়ে অসুস্থ মায়ের প্রতি তারেকের এমন আচরণ, বিএনপির অভ্যন্তরে অনেকেই তীব্র সমালোচনা করছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here