• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বদরগঞ্জে ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪১) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ আদেশ প্রদান করেন। এসময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সুগার মিলস হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি রংপুর সদরের পুটিমারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ২০২০ সালের ৭ জুলাই জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩০ জুন বদরগঞ্জের শ্যামপুর সুগার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে স্কুলে নিয়ে যান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪০)। এ সময়ে স্কুলে অন্য কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। পরে এই সুযোগে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার সাতদিন পর ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ আলী ওই বছরের ৩১ আগস্ট শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২ নভেম্বর চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। প্রায় এক বছরে ১৪ জন সাক্ষী এবং ৫ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক এই এই রায় দেন।

রায়ে আসামি মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের টাকা ধর্ষিতা ছাত্রীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারক মো. রোকনুজ্জামান রায়ের পর্যবেক্ষণে শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে জানিয়েছে।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে মিথ্যা কথা বলে ওই ছাত্রীকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। আসামি মনোয়ারুল ইসলাম পরে ওই ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা আদালতে মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে পেরেছি। একই সঙ্গে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here