• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছি: গুতেরেস 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

এবারের জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থ হলে তা হবে বিশ্বের জন্য মৃত্যুর সমান- কপ-টোয়েন্টি সিক্স সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে বিভিন্ন দেশ নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছে। বিশ্বকে বাঁচাতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

কেবল আশ্বাস নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। উদ্বোধনী ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এবারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তা হবে বিশ্বের জন্য মৃত্যুর সনদ।
 
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমাদের চোখের সামনে পৃথিবী তার চিরচেনা রূপ হারাচ্ছে। সাগরের তলদেশ থেকে পর্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের খেসারত দিচ্ছে। ৩০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ হয়েছে। আমাজন বন আগে যে পরিমাণে কার্বন শোষণ করতো এখন তার থেকে বেশি নিঃসরণ করছে। দ্বীপরাষ্ট্রগুলো বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো ব্যর্থতার সুযোগ নেই। কারণ ব্যর্থতার অর্থ হলো ধ্বংস।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে কয়লার ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় বিশ্ব নেতাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, বিশ্বকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা এবারের এই সম্মেলন। বিশ্বনেতারা কাল্পনিক সুপার হিরোদের চাইতেও বড় অভিযানে রয়েছেন। কারণ বিশ্বকে বাঁচানোর এই লড়াই কোনো কাল্পনিক সংকট নয়, আর তাদের সময়ও খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

বরিস জনসন আরো জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ২০২৫ সাল নাগাদ বাড়তি ১শ কোটি ইউরো সহযোগিতার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য।

এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে বন ধ্বংসের মাত্রা শুন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। আজ কপ-টোয়েন্টি সিক্স সম্মেলনে অন্তত ১০০ দেশের নেতারা বন উজাড় বন্ধের চুক্তিতে সই করবেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত এবারের জলবায়ু সম্মেলনে এটি সবচেয়ে উল্ল্যেখযোগ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিবৃতে বলা হয়, বিশ্বের ৮৫ শতাংশ বনাঞ্চল সমৃদ্ধ দেশগুলোর বিশ্বনেতারা এ চুক্তিতে সই করবেন।

এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, রাশিয়া, কলোম্বিয়া , ইন্দোনেশিয়াসহ রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। এছাড়াও বন রক্ষায় ১২ বিলিয়ন ডলার তহবিল গঠন করা হবে। বনায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ভুমিক্ষয় রোধে বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোড় দেয়া হবে।

এবারের জলবায়ু সম্মেলনে সবার নজর শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দুই দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।কপ-টোয়েন্টি সিক্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত থাকলেও, থাকছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্মেলনে চীনের অনুপস্থিতিকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস।

এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভিডিও কনফারেন্সের সুযোগ না থাকায় পুতিন রেকর্ড করা বার্তা দেবেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here