• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

চীনের শীর্ষ টেলিকম কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

জাতীয় নিরাপত্তার কথা জানিয়ে চীনের অন্যতম বৃহৎ একটি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে চায়না টেলিকমকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, এই কোম্পানির ওপর চীনের সরকারের নিয়ন্ত্রণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থায় তাদের প্রবেশ, তথ্য মজুদ করা, বিঘ্ন তৈরি করা বা ভুলভাবে চালানোর সুযোগ থেকে যায়। এর ফলে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তবৃত্তি বা অন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ পেতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত প্রায় ২০ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ সেবা আসা চায়না টেলিকম এ সিন্ধান্তকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করেছে। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সম্ভাব্য সকল বিকল্প অনুসরণের পরিকল্পনা করছে।

চীনের টেলিযোগাযোগ খাতে যে তিনটি কোম্পানির প্রাধান্য রয়েছে, তাদের একটি চায়না টেলিকম। এই কোম্পানিটি ১১০টি দেশে কোটি কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে শুরু করে মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন নেটওয়ার্কে এই কোম্পানি সেবা দিয়ে থাকে।

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ হে'র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানা গেল।

বাণিজ্য এবং তাইওয়ান ইস্যুতে দুই পরাশক্তির সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর এই দুই নেতার বৈঠককে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ হিসাবে দেখা হচ্ছিল।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তারা হয়তো চায়না টেলিকমের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে পারে। সেখানে তারা দাবি করেছিল, ''চীনা সরকারের শোষণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।''

সেখানে বলা হয়েছিল, এই প্রতিষ্ঠানটি 'সম্ভবত কোনো রকম স্বাধীন বিচার বিবেচনা ছাড়াই চীনা সরকারের অনুরোধ মেনে চলতে বাধ্য হয়ে থাকে।

চায়না টেলিকম হলো চীনের সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান যাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

গত বছর হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-কে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসাবে বর্ণনা করেছিল এফসিসি। এর ফলে তাদের কাছ থেকে যন্ত্রপাতি কেনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে চায়না মোবাইলের মার্কিন লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছিল এফসিসি। চায়না ইউনিকম আমেরিকান এবং প্যাসিফিক নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এরকম ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সবগুলো ঘটনাতেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এসব কোম্পানির মাধ্যমে চীনের সরকার আমেরিকার বিরুদ্ধে গুপ্তচরগিরি বা জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here