• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ডিজিটাল যুগে দ্রুত বিচারকার্য নিয়ে বিচারকদের ভাবতে হবে-আইনমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজের গতি বহুগুণ বেড়েছে। দেশের বিচারকদেরও এটি বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি আনতে হবে। বিচারকরা দ্রুত বিচারকার্য কীভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে।

গত বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪৬ ও ৪৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, যুগ কিন্তু পাল্টেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকার্যে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলদ্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিতো। কিন্তু এ ডিজিটাল যুগে তারা বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। তারা দ্রুত ন্যায়বিচার চায়।

তিনি আরো বলেন, একটি কথা চালু আছে, জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড এবং জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড। আপনাদের এই দুটোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। একটি ব্যালান্সের মধ্যে আসতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সবসময় একটি অভিযোগ আসে বিচারকার্য করতে গেলে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী দিতে দেরি হয়। কারণ তাদের খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে বিচারিক আদালতে আনতে অনেকদিন সময় লাগে। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে। এখন আমরা আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএস-এর মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তসহ প্রত্যেক স্বাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবে না যে, আমরা সংবাদ পাই নাই বা আমি এজন্য আদালতে আসতে পারিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু এগুলো করে যাচ্ছি। এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেটা হলো যেদিন মেডিকেল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন সেদিন যেন তার সাক্ষীটা হয়। এ জিনিসটা বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু করেছি। এটি হচ্ছে আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এ সেতুর কল্যাণে এখন ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় বরগুনায় যাওয়া যাচ্ছে। যেটা আগে লাগত কমপক্ষে ১০-১২ ঘন্টা। আমাদেরও বিচার করতে গেলে এ গতিটা মেইনটেইট করতে হবে। তা-না হলে ৩৯ লাখ মামলার জট কমিয়ে আনতে পারবো না।

তিনি আরো বলেন, জুডিশিয়াল অফিসার আরো বাড়ানো হবে। বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। জুডিশিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কিনতে স্বল্পসূদে সরকারি ঋণ পান সে ব্যবস্থা করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here