• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

কাল কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

কাল ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস। একাত্তরের এ দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাক সেনাদের পরাজিত করে কুড়িগ্রামকে হানাদার মুক্ত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এদিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কুড়িগ্রাম জেলা ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন জামালপুর সংলগ্ন রৌমারী উপজেলা ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ। নভেম্বরের প্রথম থেকেই মিত্র বাহিনীর আক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। একে একে পতন হতে থাকে পাক সেনাদের শক্ত ঘাঁটিগুলো। মুক্ত হয় জেলার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, চিলমারী, উলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এরপর পাকসেনারা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তোলে কুড়িগ্রাম শহরে। কুড়িগ্রামকে মুক্ত করতে মিত্র বাহিনীরা বিমান হামলা চালালে বেসামাল হয়ে পড়ে পাক সেনারা। ৫ ডিসেম্বর থেকে মিত্র বাহিনীর আক্রমণে পিছু হটতে শুরু করে তারা। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৬ ডিসেম্বর। কুড়িগ্রাম হয় হানাদার মুক্ত।

সেদিনের সেই মুক্তির কথা মনে পড়লে এখনও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। স্মৃতিচারণ করেন তাদের অনুভুতিগুলো। তৎকালীন কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হাই বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম প্রধান শহরে প্রবেশ করে এবং নতুন শহরস্থ ওভারহেড পানির ট্যাংকসহ বিভিন্ন স্থাপনার ওপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারও মুক্তিকামী মানুষ মিলিত হয় বিজয় মিছিলে।

দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বিজয় র‌্যালিসহ স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here