• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সাইবার বুলিং প্রতিরোধে বাবা-মায়ের ভূমিকা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাবা-মা সন্তানদের হাতে বিভিন্ন কারণে স্মাটফোন তুলে দিচ্ছেন। নিজেদের কাজের ব্যস্ততায় সন্তানকে স্মার্টফোন দিয়ে ব্যস্ত রাখতে হোক অথবা অনলাইনে পড়াশুনা অভ্যাস, গ্রুপ স্টাডি ইত্যাদির কারণে। এভাবে ফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে সন্তানরা। কিন্তু আপনার সন্তান শুধু পড়াশোনার কাজেই নয় ফোনে হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করছে। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে চেষ্টা করুন। 

সন্তানের স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। বিশেষ করে তারা কাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশছে তা খেয়াল রাখুন। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই মানুষ সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বাচ্চারাও তার শিকার হচ্ছে।

শিশু/কিশোররা অনলাইনে অনেক কিছু দেখে আবেগে ভুল সিদ্ধান্ত বা কাজও করে বসতে পারে। কিন্তু সেটা বুঝতে পেরে সরে আসতে চায়, তখন বিপরীত পাশে থাকা অনলাইন বন্ধু কখনও তাকে লোভ দেখায়, কখনও বা ভয় দেখায় কিংবা মানসিক (সম্পর্ক অনলাইন থেকে অফলাইন অবধি গড়ালে শারীরিক অত্যাচারও হতে পারে) নির্যাতন করে তাকে কোনোকিছুতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।

এমন পরিস্থিতিতে সাইবার বুলিং এড়াতে ইউনিসেফ কিছু টিপস শেয়ার করেছে। জেনে নিন সেসব: 

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আপনার সন্তানের সব অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড সেট করুন। এমন কোনো পাসওয়ার্ড রাখবেন না, যা খুব সহজেই অন্য কেউ জেনে যেতে পারে। 

ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখুন
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার করবেন না। এতে যে কেউ সেই সব তথ্যকে ভুলভাবে কাজে লাগাতে পারে। তাই আপনি চেনেন, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই শেয়ার করুন। যেমন আপনার পুরো নাম, ঠিকানা বা ফোন নম্বর এই সব।

পোস্ট করার আগে দুবার ভাবুন
অনলাইনে কিছু পোস্ট করার আগে, ভেবে দেখুন সেটি অন্যদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আর যদি অচেনা কোনও ব্যক্তি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে তার থেকে ছবি ‘হাইড’ করে দিন

সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং দেখেন, চুপ করে থাকবেন না। এর বিরুদ্ধে আপনার আওয়াজ তুলুন এবং যার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে, তাকেও সাহায্য করুন।

প্রমাণ সংগ্রহ করুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং এর সম্মুখীন হন, তাহলে প্রমাণ সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রিনশট, ই-মেইল এবং মেসেজগুলো সেভ করুন, যা সাইবার বুলিংয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন।

সাইবার বুলিং সম্পর্কে অন্যদের জানান
আপনার বন্ধু, পরিবার এবং সম্প্রদায়কে সাইবার বুলিং সম্পর্কে শিক্ষিত করুন। যদি কেউ ভুল কোনও মেসেজ করে বা কমেন্ট করে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিন।

অনলাইনে নিরাপত্তা টুল ব্যবহার করুন
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য অনেক টুল রয়েছে। এই টুলগুলো ব্যবহার করুন। এতে কোনোরকম সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটলে আপনি জানাতে পারবেন।

সাইবার বুলিং রিপোর্ট করুন
আপনি যদি সাইবার বুলিং এর সম্মুখীন হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করুন।

সাইবার বুলিংকে ভয় পাবেন না
মনে রাখবেন আপনি একা নন। সাইবার বুলিং থেকে ভয় পাবেন না এবং এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তবেই আপনি যেকোনো রকম সাহায্য পাবেন।

সূত্র: ইউনিসেফ

Place your advertisement here
Place your advertisement here