• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

`১০ ডিসেম্বর ইস্যু বানিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়`

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

জনসভা নয়, ১০ ডিসেম্বর ইস্যু বানিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিশরে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তথ্যমন্ত্রী।

মতিঝিলের রাস্তা তাদের এত পছন্দ কেন- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে। তারা সমাবেশ করতে চায় না। ইস্যু তৈরি করতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কেউ এ চেষ্টা চালালে দলের নেতারা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার সময় বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের সব বড় বড় জনসভা হয়েছে। যে ময়দান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যে ময়দানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছে, যেখানে অতীতেও তারা অনেক জনসভা করেছে। সেখানে তাদের যেতে অতো অস্বীকৃতি কেন, অনিহা কেন? তারা রাস্তায় শুধু জনসভা করতে চায়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় জনসভা করে তারা গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়। তারা জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়। নাগরিকরা রাস্তায় জনসভা করার বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা রাস্তায় চেয়ে বেড়াচ্ছে। এটি তো কোনোভাবেই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে। সেটা বলে না।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা তো বিএনপির নেতাকর্মী। এটি করার জন্য বিএনপি নেতারাই নির্দেশ ও অর্থ দিয়েছিলেন। এটির ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তাদের হাতে আগুন ও মানুষের রক্ত লেগে আছে। তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা আছে। জামিন বাতিল হলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তাদের জামিন আদালত বাতিল করেছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশের মালিক জনগণ। এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে কে থাকবে না সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার সুযোগ নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে না। এ দেশের কূটনৈতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না।

তিনি বলেন, কূটনৈতিকদের কাছে বারবার ছুটে গিয়ে বিএনপি নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে। তারা এভাবে ছুটে যায় বিধায় কূটনীতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়। তারা যদি এভাবে ছুটে না যেত, কূটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেতো না। যখন বিদেশি কূটনীতিকরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলে তখন দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমি মনে করি এটি হস্তক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here