• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

গঙ্গাচড়ায় ঘাঘট নদীটি খনন করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

কালের আবর্তনে মরে গেছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঘাঘট নদ। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় নদের বুকে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। নদীর বুক জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। নদটি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে শত শত মৎস্যজীবী। স্থানীয়রা বলছেন, নদীটি খনন করা হলে মৎস্য চাষসহ আবাদি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। কৃষকরা উপকৃত হবে।

জানা যায়, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুজিপাড়া গ্রামে তিস্তার শাখানদ হিসেবে ঘাঘটের যাত্রা শুরু। পরে এটি গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর থানা অতিক্রম করে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। আঁকাবাঁকা পথে ঘাঘটের দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার।

শুকনো মৌসুমে ঘাঘটের পানিপ্রবাহ এখন শূন্যের কোঠায়। অথচ বর্ষাকালে নদীর ভাঙনে প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও স্থাপনা। নদীটি খনন করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে বেশি। সেই সঙ্গে বাড়বে মাছের উৎপাদন। তা না হলে স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে এ নদটি। তখন লোকজন হয়তো বলবে, এখানে একটি নদ ছিল।

বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাইমিন ইসলাম মারুফ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদ খনন না করার কারণে ভরাট হয়ে গেছে। অল্প পানিতে নদ ভরাট হয়ে বন্যা দেখা দেয়। নদতীরবর্তী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, নদটি খনন করা হলে প্রচুর মাছ উৎপাদিত হতো। অনেকের জীবিকা নির্বাহ হতো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম বলেন, এর মধ্যে ঘাঘট নদের কিছু অংশ খনন করা হয়েছে। তবে গঙ্গাচড়া পয়েন্টে খনন করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ঘাঘট নদের উৎপত্তিস্থল থেকে শেষ পর্যন্ত খননের জন্য একটি সমন্বিত প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here