• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

বিচ্ছেদের ৭০ বছর পর বিয়ের পিড়িতে বসলেন চীনা যুগল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

চীনের বাসিন্দা জু গুইঝেন ও কাও ঝেনওয়েই ছেলেবেলার বন্ধু। তাদের বাবারাও একে অপরের বন্ধু ছিলেন, ব্যবসাও করতেন একসঙ্গে। পারিবারিক বন্ধুত্ব থেকে জু ও কাওয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

জুর বাবা চাইতেন, তার মেয়েকে কাও বিয়ে করুক। কিন্তু কাওয়ের সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক থাকায় শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়েটা হয়নি। এ ঘটনার পর জুর অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২৪ বছর বয়সে শেষবার দেখা হয় জু ও কাওয়ের। এর ৭০ বছর পর আবার দেখা। এরপর ৯৪ বছর বয়সে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা।

১৯২৬ সালে চীনের শানডং প্রদেশের ওয়েইহাই শহরে জু ও কাওয়ের জন্ম। ১৬ বছর বয়সে প্রথম দেখা তাদের। জু ও কাওয়ের বাবা ওয়েইহাই শহরে একটি স্টুডিও চালাতেন। জাপানের সেনাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনের প্রতিরোধযুদ্ধের সময় ১৯৩৭ সালে দুই পরিবার একসঙ্গে সাংহাইয়ে পাড়ি জমায়। সেখানকার একটি ফটো স্টুডিওতে কাওকে প্রথম দেখেন জু। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।

২০১৯ সালের কথা। কাওয়ের বয়স তখন ৯৩ বছর। বহু বছর পর কাওয়ের সঙ্গে জুর ছোট ভাইয়ের দেখা হয়। কাও তার কাছে জুর ব্যাপারে জানতে চান। জুর ছোট ভাইয়ের উৎসাহে তাদের আবার দেখা হয়। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হয় তাদের বিয়ে।

কাওয়ের সঙ্গে আবার কথা হওয়া প্রসঙ্গে জু বলেন, ‘আমি ফোনকল ধরার সঙ্গে সঙ্গে গলার আওয়াজ শুনে বুঝতে পারি, এটা তার (কাও) কণ্ঠ। পরে আমি তার সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু আমার চিন্তা ছিল, তাকে চিনতে পারব তো? কারণ, বহু বছর তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।’

এদিকে কাও বলেন, ‘যদিও আমাদের ৭০ বছর দেখা হয়নি, এরপরও একে অপরকে খুবই চেনা মনে হতো। আমরা একা ছিলাম ও সঙ্গী খুঁজছিলাম। এটাই হয়তো ভাগ্য।’

বিয়ের পর জু ও কাও একটি নার্সিং হোমে ওঠেন। সেখানে ৩০ বর্গমিটারের একটি কক্ষে থাকছেন তারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here