• মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৯ ১৪৩০

  • || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রামে কবর খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো সাদা কাপড়ে মোড়ানো পুতুল-তাবিজ গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার রংপুরে স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

নতুনরূপে আসছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কাজ ধীরগতিতে চলছে। যদিও বর্ষাকালে কাজ করা বেশ কঠিন। আবার যে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে সংস্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটার পরিবর্তন হয়েছে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাজ পিছিয়ে। অবশ্য স্টেডিয়ামের মাঠ ও অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক তৈরি করা শেষ। এখন গ্যালারি, বাইরের সাজসজ্জা ও ফ্ল্যাডলাইটের বিশেষ কাজ বাকি রয়েছে। সেসব হয়ে যাবে দ্রুতই। আগামী বছরেই সুন্দর ও চোখ ধাঁধানো স্টেডিয়ামের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এ বছরেই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি নানা জটিলতায়। একনেকে পাস না হওয়ায় আটকে ছিল টাকা। এলইডি লাইটের ব্যাপারটি পরে যোগ করা হয়। সেখানেও সময়ক্ষেপণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে লিওনেল মেসি এসেছিলেন ২০১১ সালে। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসি আসতে পারতেন। কিন্তু অনুশীলন মাঠ, খেলার মাঠসহ অন্যান্য অসুবিধা দেখিয়ে আসেননি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ৭ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার ম্যানেজ বা স্পন্সর আনার ব্যবস্থাও করে ফেলেন। কিন্তু মেসি খেলবেন কোথায়, আর ডাবল লেয়ারের মাঠও তো নেই। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। আর সিলেট বা চট্টগ্রামে মেসিরা খেলবেন না। তাই মাঠকে নতুন আদল দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল। পরবর্তী সময়ে কোনো এক ফিফা উইন্ডোতে আর্জেন্টিনাকে আনা যাবে হয়তো।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজ জোরেশোরে চলছে। কর্মকর্তারা বেশ ব্যস্ত। কয়েকটি গ্যালারির সিট এখনো ভাঙা। সেসব সংস্কার করা হবে। কিছু ভেঙে একেবারে নতুন সিট আনা হবে। মাঠের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক রেডি হয়ে গেছে। আর মাঠও ঠিক আছে। পানি নিষ্কাশনের কাজও শেষদিকে। সংস্কারের পর আর বর্ষায় কাদা হবে না। তবে এখন প্রেসবক্সসহ গ্যালারির কাজ চলছে। আগামী বর্ষায় আশা করা হচ্ছে, অত্যাধুনিক একটি স্টেডিয়ামে বসে ফুটবলপ্রেমীরা খেলা দেখতে পারবেন। স্টেডিয়ামের বাইরেও কাজ চলছে। গুলিস্তানের অনেক দোকান সরিয়ে ফেলা হয়েছে সংস্কারের জন্য। কাজ শেষে আবার তারা ফিরবে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত একজন বললেন, আসল কাজ হয়ে গেছে। অ্যাথলেটিকস ফিল্ড রেডি। ফুটবল ফেডারেশন চাইলে ২ মাসের মধ্যে মাঠে ফেরানো যাবে।

এদিকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও আশার কথাই শোনালেন। তিনি বলেন, অনেকগুলো গ্যালারির কাজ হয়েছে। মাঠও প্রস্তুত। ঘাস লাগানো হচ্ছে। বাফুফে চাইলেই আমরা মাঠ দিয়ে দিতে পারি। বাকি গ্যালারি তারা ব্যবহার করতে পারে। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বসে গেছে। তারা বললে, আমরা প্রস্তুত করে দিতে পারি।

খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম ও ডিজিটাল বোর্ড এখনো বসেনি। আশা করা যায়, আগামী বছর সময়মতো শেষ হবে। আবারও ঢাকায় মেসিকে আনার চেষ্টা করা হলে মাঠ নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না। ৮০ কোটি টাকার সংস্কার ব্যয় বেড়ে ৯৮ কোটি হয়েছে। এতে সুন্দর একটি স্টেডিয়াম হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ফুটবল ফেডারেশন লিগ বা আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো অন্য ভেন্যুতে করছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আর লিগের ম্যাচ সিলেট, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা বা চট্টগ্রামে হয়ে থাকে। কুমিল্লা স্টেডিয়াম বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। খেলা দেখতে প্রচুর মানুষও আসে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here