‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে জনগণই তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে’
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Find us in facebook
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিলো আর কে দিলো না, তাতে কিছু যায় আসে না। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে জনগণই তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেবে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরুর ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।
তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিলো আর কে দিলো না, তাতে কিছু যায় আসে না। আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।
সরকারপ্রধান বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় এসেছি এবং আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হ্যাঁ-না ভোটের কথা ভুলে গেছে? নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের কোথায় ছিল?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা দেশের বাইরে থেকে যেন না হয়। এটি হলে বাংলাদেশের জনগণই তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ভোট ও ভাতের অধিকার আওয়ামী লীগই করেছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এটি আমারই স্লোগান।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এর ফলে একটা শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্জিত সাফল্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
তিনি বলেন, করোনা, জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, অর্থায়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন-লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অভিন্ন সংকট মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ জন্য অবশ্যই বিভাজন, সংকীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার বিপরীতে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিকতা বেছে নিতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তি ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্যে আমাদের অবশ্যই সুবিচার, ন্যায় ও ন্যায্যতার নীতি অনুসরণ করতে হবে, যার ভিত্তি হবে জাতিসংঘ সনদ এবং ২০৩০ এজেন্ডা।
তিনি আরও বলেন, এমন একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক অবকাঠামো জরুরিভাবে প্রয়োজন যা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিশেষ ছাড়ে, কম খরচে, কম সুদে এবং ন্যূনতম শর্তে অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করবে। তাছাড়া জরুরি অবস্থা এবং দুর্যোগের সময় আইএমএফের এসডিআর তহবিলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, সমস্ত ঋণ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তাবনার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা এই প্রস্তাবনার দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করছি।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত মাসে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন আমাদের জন্য সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য মৌলবাদকে ইন্ধন দিতে পারে। এই অবস্থা চলমান থাকলে এটি আমাদের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় এবং সেখানে তারা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে আগ্রহী। আসুন আমরা এই নিঃস্ব মানুষের জন্য তাদের নিজের দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আপনাদের সকলের কাছে, বিশ্ব নেতাদের কাছে আমার আবেদন, যুদ্ধ, স্যাংশন ও সংঘাতের পথ পরিহার করুন এবং আমাদের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করুন।
- কুয়াশা ভরা মিষ্টি ভোরে
- পচা মাংস বিক্রির দায়ে ১ মাসের জেল, দোকান সিলগালা
- গাইবান্ধায় ৫২ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৮২
- রংপুরের শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি`র জন্মদিন উদযাপন
- রাজীবপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
- কুড়িগ্রামে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি`র জন্মদিন উদযাপন
- শীত নামেনি পঞ্চগড়েও
- দিনাজপুরে ‘প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ’ শুরু
- কমলা চাষে শিক্ষক দম্পতির লাখ টাকা আয়
- ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কৃষক হানিফ
- ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের করোনা শনাক্ত
- কুড়িগ্রামে মাদক কারবারি গ্রেফতার
- কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে হুইল চেয়ার ও ত্রুাচ বিতরণ
- রংপুরে ৯/১১ জিনিয়াস ব্যাচের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট
- রাজারহাটে পাটচাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- পীরগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ আটক-১
- ডোমার-ডিমলা আসনে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ
- হারাগাছে নেশা দ্রব্যসহ নারী গ্রেফতার-১
- রংপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ মানববন্ধন
- রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে ৪৬০০ কৃষক পেলো ধানের বীজ ও সার
- কিশোরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দিনাজপুরে খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন
- রংপুর বিভাগের আট জেলায় বেড়েছে ১৭ লাখ ভোটা
- সিঙ্গাপুরের জালে দুই হালি গোল বাংলাদেশের
- নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
- সুন্দরগঞ্জ আসনে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
- রংপুরে স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ
- গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার
- দিনাজপুরে স্ত্রীর অপারেশন করাতে যাওয়া পথে প্রাণ গেল স্বামীর
- রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে নৌকার মাঝি হলেন যারা
- দেবীগঞ্জে দীপাবলির রাতে আগুনে পুড়লো ৩ ঘর
- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী
- রাজিবপুরে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- পার্লামেন্ট জার্নাল সংসদীয় সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
- বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রভাব নেই রংপুরে
- ‘বাস পুড়িয়ে ও মানুষের ওপর জুলুম করে ক্ষমতায় আসা যায় না’
- সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
- সারাদেশে র্যাবের ৪৬০ টহল দল
- ঘোড়াঘাটে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা
- ছাগল খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু
- রমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল
- বিয়ের আগের দিন বা রাতে বর-কনের যা করা উচিত নয়
- দিনাজপুরে মহিলা আওয়ামীলীগের মানববন্ধন
- সাগরে ৫০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে
- কুড়িগ্রামে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
- ঢাকা-কক্সবাজার পথে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
- নির্বাচন কমিশনে অ্যাপ চালু, মুহূর্তেই জানা যাবে ভোটের খবর
- নীলফামারীতে ১৮টি বিদ্যালয়ে খেলনা উপকরণ বিতরণ
- গাইবান্ধা-১ আসনে মায়ের বিপক্ষে লড়বেন মেয়ে!