জামায়াত সুযোগ পেলেই আসল চেহারা উন্মোচিত করবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‌স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামী সময় সুযোগ পেলেই তাদের আসল চেহারা উন্মোচিত করবে এবং স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হবে। এটা মেনেই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

শুক্রবার সকালে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বের ইতিহাস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী স্যালেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাদের যারা সহযোগি ছিল রাজাকার, আল-বদর, আল-সামস এবং যে জামায়াতে ইসলামী সেই সময় দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা সবাই কিন্তু বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তারা এখনো আছে। তারা আমাদের আশেপাশে আছে এবং আমাদের সঙ্গে মিলে মিশে আছে। কাজেই তারা সময় সুযোগ পেলে তাদের আসল চেহারা উন্মোচিত করবে এবং স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হবে এটাই স্বাভাবিক।  

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও মিথ্যাচার করাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির মূল কাজ। তারা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে। আমরা বিশ্বাস করি যত অপপ্রচার করুক স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তাতে কোনো ভাবেই বিভ্রান্ত হবে না। বাধাকে অতিক্রম করে চলাটাই হচ্ছে সফলতা।

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে ২৯ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর ও তার উত্তরাধিকার ১৯ বছর মিলে মোট সাড়ে ২২ বছর ক্ষমতায়। আমাদের সাড়ে ২২ বছরের সঙ্গে তাদের ২৯ বছর তুলনা করলে, মানুষ বুঝবে যে তারা ক্ষমতায় থেকে এদেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিটেফোটা ছিল বলেই তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য তারই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। 

এর আগে, মন্ত্রী রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্বাধীনতা গ্যালারি উদ্বোধন করেন।