রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: অরকা হোমসে মাতৃস্নেহে বেড়ে উঠছে ওরা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২

Find us in facebook
কেউ হারিয়েছে বাবাকে, কেউবা মাকে। কেউ কেউ আবার বাবা-মা উভয়কে হারিয়েছে। কারও কারও বাবা-মা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এমনই ৪৫ জন ছেলে-মেয়ের ঠাঁই হয়েছে গাইবান্ধার ‘অরকা হোমস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টায় সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এতে ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। হতাহতদের ছেলে-মেয়েদের লালন পালন করছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন (ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন) অরকা। শুরু থেকে এখানে সহায়তা করে আসছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অরকা হোমস প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে একটি তিন তলা ভবন, খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ও বিনোদনের ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যসম্মত ও ঘরোয়া পরিবেশে এখানে বেড়েছে উঠছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো পোশাকশ্রমিকদের ৪৫ জন ছেলে-মেয়ে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই সাত বছর ধরে রয়েছে এই হোমসে। তাদের পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে পাশের হোসেনপুর মুসলিম একাডেমিতে।
অরকা হোমসে ঠাঁই হওয়া মা-হারা আলামিন বলে, সেদিনের কথা মনে হলে আজও বুকটা কেঁপে ওঠে। ২৪ এপ্রিল মা বেতন আনার জন্য রানা প্লাজায় যাই। কিন্তু আর ফিরে এলো না। ১২ দিন পর মায়ের লাশ শনাক্ত হয়। পরে রংপুরে গ্রামের বাড়িতে মাকে দাফন করা হয়। সেই সময় আমার পাশে দাঁড়াই রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ‘অরকা’। এখনকার পরিবেশ সুন্দর। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। আমি এখন দশম শ্রেণিতে পড়ছি।
ওলি হাসানের ঠাঁই হয় প্রথমে চট্টগ্রামে ‘অরকা হোমস’ এ। সেখান থেকে পাঁচ বছর আগে গাইবান্ধা হোমসে আসে সে। এখানে শুধু আশ্রয় নয়, এখানে এসে ওলি পেয়েছে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রেরণা। লেখাপড়া শেষ করে পুলিশ অফিসার হওয়ার ইচ্ছা তার।
সাভারের ফাতেমা আক্তার মিম বলে, রানা প্লাজা ধসে মা বুকে আঘাত পেয়ে ভীষণভাবে আহত হন। সেই আঘাত এখন ক্যানসারে রূপ নিয়েছে। দিনমজুর বাবাও অসুস্থ্। কাজ হারিয়ে আমাদের লালন-পালনে অক্ষম তিনি। অরকা হোমস আমার থাকা-খাওয়া ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে। আমার ছোট বোন সোনালী আক্তার বিথী আমার সঙ্গে এখানে থাকে। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ছি। আমরা ভালো আছি।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর এলাকার আল-আমিন ইসলাম বলে, ভবন ধসে মাকে হারিয়েছি। এখন মায়ের কথা মনে হলে চোখে জল চলে আসে। আমার সামনে কেউ কারো মাকে ডাকলে খুব কষ্ট হয়। বিজিএমইএর মাধ্যমে অরকা হোমসে এসেছি। খুব ভালো আছি। পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই।
অরকা হোমসের কার্যক্রম শুরুতে চট্টগ্রামে হলেও পরে গাইবান্ধায় শুরু করে। এখন মোট ৬৬ জন ছেলে-মেয়ের যাবতীয় ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাদের নিজের সন্তানের মতো দেখাশোনা করছেন দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়করা।
অরকা হোমসের তত্ত্বাবধায়ক মিল্লাত মন্ডল বলেন, দেশ-বিদেশে থাকা অরকার সদস্যদের আর্থিক সহায়তার ভিত্তিতেই মূলত হোমসের ব্যয় মেটানো হয়। এছাড়া রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এখানে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে থাকে। এখানে বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। শিশুরা যেন বাবা-মায়ের মতো স্নেহ পায় সেজন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
- ‘গুপ্তধন পেতে জিনের বাদশাহকে ৮ লাখ টাকা দিয়েছি’
- লিচুকে ঘিরে দিনাজপুরে দৈনিক ১০ কোটি টাকার লেনদেন
- নীলফামারীতে দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ
- মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল পেলেন ২ বাংলাদেশি
- আগামীকাল দেশে আসছে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ
- ‘ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হবে’
- সারা দেশে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টি, থাকবে আরো পাঁচ দিন
- ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে সরকার’
- নির্মাণ হচ্ছে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু
- ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবির জীবনাদর্শ একই দর্শনের ধারাবাহিক রূপ’
- মিথ্যাচারের মামলায় বড় অঙ্কের জরিমানা দেবে টুইটার
- ক্ষমতায় যেতে উন্মত্ত হলেও নির্বাচনে অনীহা বিএনপির
- ফাইনালে রিয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় লিভারপুল
- তাহসান-তিশার ভক্তদের জন্য সুখবর, আন্তরিকতার কমতি নেই দু’জনের
- একজন মুসলিম কখন নামাজ বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে
- সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মেধায় বাঙালি অনেক এগিয়ে: তথ্যমন্ত্রী
- সেভেরোদনেৎস্কে রুশ হামলায় নিহত ১৫০০
- দেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার এক বিরল দৃষ্টান্ত: কাদের
- পর্যটন প্রসারে প্রচারণায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে: মাহবুব
- দেশের ভালো হোক বিএনপি কখনোই চায় না: আইনমন্ত্রী
- সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব
- সনাতন কৃষি আধুনিকে রূপান্তরিত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
- যুব উন্নয়নে দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার
- কত ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন হজযাত্রীরা
- শেষ হলো ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ৫ লাখ ডলার পাচ্ছে ইউক্রেনে নিহত হাদিসুরের পরিবার
- ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ম্যানিপুলেট করা অসম্ভব: ড. জাফর ইকবাল
- বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান
- ৮৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি কার্গো আমদানি হচ্ছে
- নবাবগঞ্জে বাঁশ কাটতে গিয়ে প্রাণ গেলো যুবকের
- সাঘাটায় ট্রাফিক আইন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে ওয়ার্কশপ
- নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
- ঝড়ে গাছ উপড়ে রেললাইনের উপর
- প্রতিষ্ঠার পর কখনো জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেনি বিএনপি
- চাচার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেলো ভাতিজার
- নীলফামারীতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতা শুরু
- ১৩০ নেতার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে
- রংপুরে বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো ছেলে
- ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ দেখতে নাইজেরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়
- কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
- বাসি খাবার ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন নতুন কিছু সুস্বাদু পদ
- নতুন সড়ক নয়, সংস্কারে জোর দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ কিশোরের, ভেসে ওঠল লাশ
- ২০২৫ সালে ফিস্টুলা মুক্ত হবে রংপুর: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
- `ভ্যাকসিনেশনে আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ`
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়লো
- বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
- ‘আর মারিস না বাবা, আমি তোর মা’, তবু মন গলেনি ব্যাংকার ছেলের
- কুড়িগ্রামে এক গুচ্ছগ্রামে থাকছে দুই জেলার মানুষ