• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

৩২ বছর পর রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রথমবারের মতো জলহস্তির শাবক প্রসব

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩২ বছর পর প্রথমবারের মতো জলনুপুর নামের জলহস্তি একটি শাবক প্রসব করেছে। তবে শাবকটি কোন লিঙ্গের তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে জলনুপুর শাবক প্রসব করে। রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডাঃ মোঃ আমবার আলী তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর চিড়িয়াখানার  দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শাহাদত হোসেন জানান, জলহস্তি নুপুর ও কালোপাহাড়কে ২ হাজার সালের ১৭ আগস্ট জুটি হিসাবে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। এর আগে একটি জলহস্তি বধ্যক্ষ জনিত কারণে মারা যায়। 

কলোপাহাড়ের জন্ম ১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ও নুপুরের ১৭ সালের ১১ জুলাই। তাদের আদিনিবাস কেনিয়ায়। সঙ্গী জলহস্তি ৪ থেকে ৫ বছর ও পুরুষ ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে বয়প্রাপ্ত হয়ে শাবক জন্ম দিতে সক্ষম হয়। ১৯০ থেকে ২৪০ দিনের মধ্যে গর্ভধারণের পর পানিতেই একটি শাবক প্রসব করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা বেজে ১৫ মিনিটে জলহস্তি নুপুর শাবকটি প্রসব করে। কোন লিঙ্গের শাবকটি তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা সেখানকার কর্তৃপক্ষ।  নুপুরের শাবককে দেখতে চিড়িয়াখানায় উত্সুক দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন।

অন্যদিকে, চিড়িয়াখানায় এক জোড়া ঘোড়া থেকে এখন ৪টি ও গাধার জুটি থেকে ৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এখন ৩টি গাধা গর্ভধারণ করেছে। আরো এক জোড়া বাঘ চট্টগ্রাম থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় আসার কথা জানালেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা। রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩১টি প্রজাতির ২৫১টি প্রাণি রয়েছে। 

রংপুর চিড়িয়াখানায় জ্যু অফিসার এইচএম শাহাদাত জানান, যখন বুঝতে পারলাম জলনুপুরের পেটে বাচ্চা এসেছে তখন থেকে তাকে বিশেষ পরিচর্চা শুরু করি। আট মাস প্রতীক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে জলহস্তিটি শাবক প্রসব করে। শাবকের ওজন ২৫-৩০ কেজি হবে।শাবকটি এখনো সুস্থ রয়েছে।

রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডাঃ মোঃ আমবার আলী তালুকদার জানান, জলহস্তির পেটে শাবক আসার পর থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিলাম আমরা। নিরাপদে শাবক প্রসবের জন্য ইতোমধ্যে পুরুষ জলহস্তিকে আলাদা আবাস স্থলে নেওয়া হয়েছে। অনুকূল পরিবেশের কারণে চিড়িয়ানার সব বন্যপ্রাণী ও পাখিগুলো সুস্থ রয়েছে। বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ধীরে ধীরে রংপুর চিড়িয়াখানা বন্যপ্রাণীর।

Place your advertisement here
Place your advertisement here