• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

ইলন মাস্ক: জিনজিয়াংয়ে শোরুম খুলে সমালোচিত টেসলা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

চীনের বিতর্কিত জিনজিয়াং অঞ্চলে শোরুম খোলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের নিপীড়ন ও গণহত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে চীনের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। খবর বিবিসির।  

নতুন বছরের শুরুর দিনেই টেসলার মালিক বিলিয়নার ইলন মাস্ক জিনজিয়াংয়ের উরুমকি শহরে শোরুম চালু করেন। তারপরই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইলন মাস্ক ও টেসলার সমালোচনা শুরু হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতেও টেসলার এমন হঠকারি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হচ্ছে।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিরুদ্ধে সে দেশের সম্পদ-সমৃদ্ধ পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের বাধ্য করে দাসপ্রথা চালু রাখা ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

টেসলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। ওই আইনে বলা হয়েছে, সংস্থাগুলোকে প্রমাণ করতে হবে যে জিনজিয়াং থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলো জোরপূর্বক শ্রম দিয়ে তৈরি করা হয়নি। 

রুবিও এক টুইটে অভিযোগ করে বলেছেন, জাতিহীন সংস্থাগুলো এই অঞ্চলে গণহত্যা এবং দাস শ্রম ঢাকতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে সাহায্য করছে।

অ্যালায়েন্স অব আমেরিকান ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প সংস্থার সভাপতি স্কট পল বলেছেন, আমি নির্বোধ হয়ে যাব। জিনজিয়াংয়ে ব্যবসা করা যে কোনো কম্পানি সেখানে সংঘটিত সাংস্কৃতিক গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু টেসলার কার্যক্রম চরম ঘৃণ্য।

তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টেসলা। যদিও টেসলা জিনজিয়াংয়ে নতুন শোরুমের উদ্বোধনকে চীনের টুইটার ব্যবহারকারীরা স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবো ব্যবহারকারীরাও টেসলাকে ব্যাপকহারে স্বাগত জানিয়েছে।

একজন টুইট করেছেন, জিনজিয়াংয়ে শাখা চালুর জন্য ধন্যবাদ, শুভ নববর্ষ। আরেকজন লিখেছেন, আপনারা দেখুন, টেসলা অন্য কম্পানির মতো নয়; জিনজিয়াংয়ের উন্নয়ন ও নির্মাণকে টেসলা সমর্থন করে।

এর আগে ২০২০ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নতুন গবেষণার ওপর ভিত্তি করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে; যাতে দেখা যায়- চীন সংখ্যালঘু কয়েক লাখ মানুষের ওপর জোর খাটিয়েছে। তাদের মধ্যে উইঘুররাও রয়েছে। যাদেরকে জোরপূর্বক তুলা ক্ষেতে শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

বেইজিং যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here