• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
গতকয়েক দিনের ভারি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা  নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের নিম্ন অঞ্চলের মানুষ আরেকবার বন্যার আশঙ্কা করছেন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার  তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল  ৯ টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয়  নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮ সেন্টিমিটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে আবারও পানিতে তলিয়ে টইটুম্বুর। পানি বৃদ্ধির ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। রাস্তায় পানি উঠায় চলাচলের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর,সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা ডুবে গিয়ে চলাচলের কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চর এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে গিয়েছে। চরের লোকজনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here