চায়ের নার্সারি বিরাজোত গ্রাম
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

Find us in facebook
পঞ্চগড়েের সদর উপজেলার সীমান্তঘেষা প্রত্যন্ত গ্রাম বিরাজোত। গত কয়েক বছর আগেও এ গ্রামের মানুষ ছিল অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল।
৫ থেকে ৭ বছর আগেও এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি ছিল ছনের তৈরি কাঁচা ঘর। এখন সেই গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে গড়ে উঠেছে পাঁকা ঘর। চক চক করে জানালার থাই গ্লাস। বাড়ি বাড়ি বাই সাইকেলের বদলে হয়েছে মোটর সাইকেল। যেতে হয় না আর পাথর উত্তোলন কিংবা অন্যের জমিতে কাজ করতে ৷
প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের পরিবর্তন হয়েছে চা গাছের চারার নার্সারি করে। এ গ্রামের উৎপাদিত চায়ের চারা জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে সিলেট, মৌলভীবাজার ও চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়। ফলে দিন দিন অর্থনৈকভাবে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামটি।
জানা গেছে, জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত বিরাজোত গ্রামটি। চারদিকে সবুজের সমারোহে গ্রামটি বেশ মনোরম৷ গ্রামের ভেতর ঢুকলে চোখে পড়েবে
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে খড়ের তৈরি শেড। এই সেডের নিচেই করা হয়েছে চায়ের নার্সারি। জেলার চায়ের কথা উঠলেই সবার মুখে চলে আসে এই বিরাজোত গ্রামের নাম। আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে গ্রামটি পরিচিত পেয়েছে চায়ের নার্সারির গ্রাম হিসাবে। গ্রামটির বেশির ভাগ আবাদী জমিই এখন চায়ের নার্সারি। বিভিন্ন নার্সারিতে মালিক-শ্রমিকরা পরিচর্যার কাজ করছেন। অনেকেই আবার বাইরে থেকে চারা কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে চারা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিরাজোত গ্রামে ১২০ থেকে ১৩০টি পরিবারের বসবাস। কিন্তু এই পরিবারগুলোর কম বেশি সবাই চা নার্সারির সঙ্গে যুক্ত। এ গ্রামের মানুষের দেখা দেখি পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলেতেও বাড়ছে চায়ের নার্সারি।
নার্সারি মালিকরা জানান, কেউ নিজস্ব জমিতে আবার কেউ কেউ অন্যের জমিতে ভাড়া (চুক্তি) নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই নার্সারি। প্রতিটি নার্সারিতে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন লাখ পর্যন্ত চারা তৈরি করা হয়।
বিরাজোতের চায়ের নার্সারি দেখে পার্শ্ববর্তী ডাঙাপাড়া, কামারপাড়া, পতিপাড়া, বন্দিপাড়া ও সাহেবিজোত গ্রামেও শুরু হয়েছে নার্সারি ব্যবসা। প্রতিটি চারা ৫ - ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এতে বেকার মানুষদের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তেমনি গ্রামের মানুষের জীবন মানও উন্নয়ন হয়েছে।
জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ২১ টি নিবন্ধন নিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে বিরাজোত গ্রামের সবচেয়ে বেশি। এছাড়া নিবন্ধনে বাইরে শতাধিক নার্সারি রয়েছে। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চাষের মৌসুম চলাকালে এই নার্সারি করা যায় বলে জানায় চা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
নার্সারি মালিক ও চাষিরা জানান, চা চারার সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো ঝড়, বৃষ্টি ও বাতাস।
চা নার্সারি কৃষক মোশাররফ রহমান বলেন, চায়ের নার্সারি আগে বাবা করতেন । কয়েক বছর ধরে নার্সারি করে আসতেছি। গত কয়েক বছর ধরে ভালো চলছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় সময় ক্ষতিগ্রস্ত হই কিন্তু এতে কোনো সহযোগিতা পাই না।
জমির উদ্দিন নামে আরেক কৃষক বলেন, আগে আমাদের গ্রামের মানুষরা ধান, গমের চাষ করতো, এতে তেমন লাভবান হতে পারতো না। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে চায়ের নার্সারি শুরু হলে এ গ্রামের কৃষকদের জীবনের পরিবর্তন আসে। এখন এ গ্রামের প্রতিটি কৃষকদের রয়েছে চায়ের নার্সারি। আমিও চায়ের নার্সারি করে স্বাবলম্বী হয়েছি।
বিরাজোত এলাকার চাষি বাবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় কয়েকজন কৃষক চায়ের নার্সারি করলে তাদেরকে দেখে গত ১২ বছর আগে চায়ের নার্সারি শুরু করি। শুধু নার্সারি করেই আমি স্বাবলম্বী। আগে আমরা কয়েকজন কৃষক চায়ের নার্সারি করলেও পরে আমাদের গ্রামের সবাই নার্সারি করেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, জেলায় যেসব এলাকায় চায়ের নার্সারি হয়, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নার্সারির সংখ্যা বিরাজোত গ্রামে। চায়ের নার্সারি করে মানুষ বেশ উপকৃত হচ্ছেন। ওই গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে তারা বেশ কয়েকবার কর্মশালা করেছেন। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন মানুষ এই ব্যবসায় ঝুঁকছেন।
- কুড়িগ্রামে ৫ মাস পর হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা ফিরলেন স্বজনদের কাছে
- ৪০ বছর ধরে নারিকেল গাছ পরিষ্কার করেই চলছে বিরুর সংসার
- ফুলবাড়ীতে টানা ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড
- স্বপ্নপূরণের আশায় ১৪ বছর অপেক্ষা আইনজীবী রাজ্জাকের
- রমেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দামের নানীর মৃত্যু
- অক্টোবর থেকেই রংপুরে চালু হতে যাচ্ছে ‘সিটি বাস সার্ভিস`
- টানা বর্ষণে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি
- কৃষকের সুবিধার্থে কাহারোলে আবহাওয়া পূর্বাভাস যন্ত্র
- মাছ ধরতে গিয়ে চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
- অবিরাম বর্ষণের কারণে বিপর্যস্ত রংপুরে জনজীবন
- কাউনিয়ায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
- তেঁতুলিয়ায় ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
- বিরামপুরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শতাধিক বাড়িঘর
- সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ না করে ঢাকায় ফিরে গেল বিমান!
- রংপুরে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ০৪
- লালমনিরহাটে বজ্রপাতে এক যুবক নিহত
- ভূরুঙ্গামারীতে মসজিদ, মাদ্রাসা ও দরিদ্রদের মাঝে ১০০ নলকূপ বিতরণ
- গাইবান্ধা থেকে সারাদেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়নের দাবি
- দেবীগঞ্জে তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জামাই নিখোঁজ
- মাদ্রাসার টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ জাপার ২ নেতার বিরুদ্ধে
- ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
- ডোমারে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- গোবিন্দগঞ্জে চালককে অজ্ঞান করে অটোভ্যান ছিনতাই
- অসময়ের ভারী বর্ষণে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে রংপুরের নিম্নাঞ্চল
- রংপুরে প্রশাসনের তৎপরতায় আলুর বাজারে স্বস্তির বাতাস
- বিশ্ব নদী দিবস আজ
- প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা করবে ইসি
- রাশিয়ার বন্ধু দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের দৃঢ় পদক্ষেপের আহ্বান
- ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
- শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নির্বাচন হবে: আইনমন্ত্রী
- পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
- ‘স্বামী চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় তরুণী!
- তিস্তার পানিতে টান, বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারে
- সব অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ভূমিকা রাখে ছাত্রলীগ : প্রধানমন্ত্রী
- উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সনদপত্র বিতরণ
- লালদিঘী মসজিদ, গরমেও থাকে শীতল
- প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই মিলছে সুফল
- কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- আরো আধুনিক শহরে রূপ নেবে ঢাকা: সেতুমন্ত্রী
- নীলফামারীতে সাধারণ গ্রন্থাগারের উদ্যোগে দু`দিন ব্যাপী প্রদর্শনী
- এনআইডি ছাড়াই নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা
- `সরাসরি বিমান যোগাযোগ জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্প্রসারিত করবে`
- শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখতে চান তিমুরের প্রধানমন্ত্রী
- কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় জরিমানা
- শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ
- বঙ্গবন্ধু`র ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দেবীগঞ্জে আলোচনা সভা