• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

‘অসামাজিক কার্যকলাপে’ অন্তঃসত্ত্বা, জেনে মেয়েকে মাটিচাপা দেন বাবা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘অসামাজিক কার্যকলাপে’ অন্তঃসত্ত্বা, জেনে মেয়েকে মাটিচাপা দেন বাবা      
২৫ বছর বয়সী লিপি বেগম। থাকতেন ঢাকায়। সংসার ভাঙতেই শুরু করেন অসামাজিক কার্যকলাপ। মাঝে মধ্যে গ্রামে ফিরলেও মেয়ের এসব সইতে পারতেন না বাবা। কিন্তু কোরবানি ঈদের কিছুদিন আগে একেবারে গ্রামে ফেরেন মেয়ে। তবে এবার মেয়ে ছিল অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি কোনোভাবেই বাবা মেনে নিতে পারেননি। অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েকে হত্যার পর মাটিচাপা দেন লাশ।

এ হত্যার কয়েকদিন পর অর্ধগলিত অচেনা লাশটি উদ্ধার করা হলেও ছিল না কোনো ক্লু। যদিও মেয়ের লাশ শনাক্তের পর বাবা নিজেই হত্যা মামলা করেন। অবশেষে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ফেঁসে গেছেন বাবাও।

ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছার। ২৫ জুলাই বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতের মাটি খুঁড়ে লিপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একই উপজেলার অনন্তরাম বড়বাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটন মোটেও সহজ ছিল না। টানা সাতদিন চেষ্টার পর বেরিয়ে আসে এর মূল রহস্য। এ নিয়ে গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ স্ট্যাটাসও দিয়েছেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (‘সি’ সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ।

ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর বাবা রফিকুল ইসলাম নিজেই আসামি হয়ে গেলেন। অথচ তিনিই মেয়ে হত্যার মামলা করলেন।

এএসপি আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, মেয়ের অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে খুন করে লাশ পুঁতে রাখেন বাবা রফিকুল। বিয়েবিচ্ছেদের পর থেকেই অস্বাভাবিক জীবন শুরু করেন মেয়ে। জড়িয়ে পড়েন অসামাজিক কার্যকলাপে। এ নিয়ে গ্রামে অনেক সালিশ ও বিচার হয়। সর্বশেষ গত ঈদুল আজহায় ঢাকা থেকে বাড়িতে যান মেয়ে। ওই সময় অন্তঃসত্ত্বা জানার পর মেয়েকে হত্যা করেন বাবা। পুঁতে রাখেন লাশ।

মেয়ের অসামাজিক কাজে অতিষ্ঠ হয়ে এ কাজ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন বাবা। সবকিছু শুনে রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

Place your advertisement here
Place your advertisement here