• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে পানি বাড়তে থাকায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত পানি বিপদসীমার এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি বাড়ায় নদীতীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে করে চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার বাদাম ও ভুট্টাক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকলে নদী এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
 
জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউপির ইচলি, বিনবিনা, বাগেরহাট এবং লক্ষিটারী ইউপির বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বাড়িঘর রক্ষায় ইচলির চরে স্বেচ্ছায় নির্মিত বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এতে শঙ্কায় রাত কাটছে এলাকার লোকজনের। বুধবার সকালে মহিপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে চারদিকে নদীর পাশের চরগুলোতে উঠেছে পানি।

ইচলি চরের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, সোমবার রাতে পানি বেড়েছিল, কিন্তু পরদিন সকালে কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে পানি বেড়েছে। মাটি ও বালা দিয়ে বাঁধ দিয়েছি, তবে পানির তীব্র স্রোতে সেটি টিকবে না, ভেঙে যাবে। 

তবারক আলী জানান, নদীর পাড়ের জমিগুলোতে পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বাড়লে বেশিক্ষণ লাগবে না ঘরে পানি উঠতে।

বাগেরহাট এলাকার নজরুল জানান, জমিবর্গা নিয়ে বাদামের চাষ করেছিলাম। ক্ষেতে পানি উঠেছে। পানি না নামলে বাদাম লাল হয়ে যাবে। পানি বাড়লে অপরিপক্ব বাদামই তুলে নিতে হবে।

কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, নদীতে পানি বাড়ছে। বিশেষ করে ইচলির বাঁধটি হুমকিতে আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসীর অনেক ক্ষতি হবে। 

লক্ষিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী জানান, নদীতে পানি বাড়ছে, বিনবিনিয়া এলাকায়ও পানি বাড়ছে। আমরা সব সময় সতর্ক আছি।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, নদীতে পানি বাড়ছে, তবে এখনও ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। পানি বিপজ্জনক অবস্থার এক মিটার নিচে আছে। অর্থাৎ ৫১ দশমিক অবস্থায় আছে। ৫২ দশমিক হলে আমরা সেটি বিপদসীমার ওপরে ধরি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here