• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী পালন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টরের প্রথম শহিদ লুৎফর রহমানের ৫১তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে থাকা শহীদ লুৎফর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, যোহরের নামাজ শেষে তার কবরের পাশে সুরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় দোয়ার আগে আলোচনায় শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের স্মৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, লুৎফর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় গংগারহাট বিওপিতে ইপিআর পদে কর্মরত ছিলেন। দেশ স্বাধীনের জন্য তিনি সর্বপ্রথম জীবন দিয়েছেন। তার সাহসী ভূমিকায় এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হন।

এতে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সাংবাদিক ইউনুছ আলী আনন্দ, ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধে বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী এলাকার বাঙালিরা সোচ্চার হতে থাকেন। ১৯৭১ এর ২৮ মার্চ ভূরুঙ্গামারীর জয়মনি থেকে আসা একদল পাকহানাদার ফুলবাড়ীতে প্রবেশ করেন।

এ ঘটনাটি জানতে পেরে গংগারহাট বিওপির ইপিআরে কর্মরত থাকা লুৎফর রহমান ও ফুলবাড়ীর মুক্তিযুদ্ধের সফল সংগঠক বীর প্রতীক বদরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে সংগঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল। পাকসেনাদের পরাস্ত করার জন্য তাদের পিছু নেয়। পরে ফুলবাড়ী থেকে ধরলা নদীর কুলাঘাট পার হয়ে লালমনিরহাট সদর এলাকায় পাকসেনার দলটি পৌঁছলে সেখানেই পজিশন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ শুরু করেন। এ সময় সহযোগীদের কাছ থেকে গুলি চাওয়ার সময় মাথা উঁচু করলে পাক হানাদারের গুলিতে শহিদ হন লুৎফর রহমান।

Place your advertisement here
Place your advertisement here