• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা ফেরত দিলেন চাকরিজীবী 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর নগরীতে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন এক চাকরিজীবী। ওই টাকার সঙ্গে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার একটি চেকও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি-সংলগ্ন জুম্মাপাড়া এলাকায়।

রোববার (১৮ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে নগরীর নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি-সংলগ্ন জুম্মাপাড়া রোডে কাগজে মোড়ানো পড়ে থাকা টাকাগুলো কুড়িয়ে পান আজিজুর রহমান জুয়েল। পরে বিকেল চারটার দিকে প্রকৃত মালিক আলমগীর হোসেনকে চেকসহ টাকাগুলো ফেরত দেন তিনি।

আজিজুর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি র‌্যাংগস পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের (শেল লুব্রিকেন্ট) ডেপুটি ম্যানেজার পদে চাকরি করছেন।

আজিজুর রহমান জানান, দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যাওয়ার পথে রাস্তায় অনেকগুলো টাকা পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে তিনি নিজেই ভয় পেয়েছিলেন। পরে টাকাগুলো কুড়িয়ে নেন। তিনি দেখেন, একটা টিস্যু জাতীয় কাগজে মোড়ানো ছিল টাকাগুলো। পরে তা তিনি একটা ব্যাগে করে নিয়ে যান।

বাসায় ফিরে টাকার প্রকৃত মালিকের সন্ধান করার কাজ শুরু করেন আজিজুর। পরে টাকার সঙ্গে থাকা চেকের পেছনে লেখা ফোন নম্বর দেখতে পান। সেই নম্বরে যোগাযোগ করেন। অপর প্রান্ত থেকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে টাকার মালিককে প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ দেখা করতে বলেন তিনি। 

আজিজুর বলেন, মুঠোফোন নম্বরে কথা বলে জানতে পারি, টাকাগুলো প্রাণ গ্রুপে কর্মরত আলমগীর হোসেন নামের একজন হারিয়ে ফেলেছেন। পরে বিকেলে ওই ব্যক্তি প্রমাণসহ উপস্থিত হন। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে টাকা ও চেক ফেরত দিয়েছি।

টাকা প্রাপ্তির পর আলমগীর হোসেন জানান, রংপুরে তিনি প্রাণ (আরএফএল) গ্রুপের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, হারাগাছ এলাকা থেকে দুজন ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ব্যাংকের দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে টাকাগুলো রাস্তায় পড়ে যায়, কিন্তু বুঝতে পারিনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। পরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আলমগীর হোসেন বলেন, টাকাগুলো আমার ছিল না, এটা কোম্পানির আমানত। আমি ভীষণ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে ফোনে জানার পর বিষণ্নতা দূর হয়। আমার বলার ভাষা নেই, এখন পৃথিবীতে ভালো মানুষ আছে। যার দৃষ্টান্ত আজিজুর রহমান স্থাপন করেছেন। আমি ভীষণ আনন্দিত।

প্রাণ গ্রুপে কর্মরত আরেক প্রতিনিধি লাল মিয়া জানান, টাকা ফেরত পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগছে। যদি এই টাকা ফেরত পাওয়া না যেত, তাহলে অনেক ক্ষতি হতো। এ ক্ষতিপূরণ দিতে আমাদের কয়েক মাস লাগত। বেতন-ভাতা নিয়ে অসুবিধা হতো।

Place your advertisement here
Place your advertisement here