• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরের  হাঁড়িভাঙ্গা আমের বিশ্ব দর্শন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের সুস্বাদু হাঁড়িভাঙ্গা আমের প্রথম বিশ্ব দর্শনে আশা জাগিয়েছে চাষি-ব্যবসায়ী ও মানুষের মাঝে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে গেছে এই হাঁড়িভাঙ্গা আম।

এছাড়াও নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র প্রধানের কাছে গেছে এই আম। এতে রংপুরের মানুষ যেমন গর্বিত তেমনি ব্যবসায়ী ও আম চাষিরাও আশ্বান্বিত হয়ে উঠেছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, হাঁড়িভাঙ্গা বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না বলে বিদেশে বপ্তানিযোগ্য নয় এই আম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছরই আমের মৌসুমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজ্যে আম পাঠান। এবার প্রধানমন্ত্রী হাঁড়িভাঙ্গা আম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিশেষ সতর্কতার সাথে পাঠানো হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুন ৭৫ মণ হাঁড়িভাঙ্গা আম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন এই আম পাঠিয়েছে। এরপর ত্রিপুরা, আসাম মেঘালয়, নেপাল ও ভুটানে মোট ৩০ মিট্রিক টন আম পাঠানো হয়।

কৃষিবিদদের মতে, হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছ থেকে পারার পরে ৭ দিনের বেশি রাখা যায় না। এর মধ্যেই এই আম পেকে যায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও এই আম বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব নয়। এই আমের গঠন প্রকৃতি এমন যে এটিকে প্রক্রিয়াজাত অথবা ফ্রিজিং করেও রাখা যায় না। তবে এই আমের আচার কিংবা জেলি করা যায়।

কৃষি বিভাগ এই আমকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করে, দেশের অন্যান্য স্থানের আম যখন শেষ হয়ে যায়। তখন এই আম বাজারে আসে। ওই সময় পুষ্টির চাহিদা মেটায় এই আম। তাই এই আমের কদর বেশি।

বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান চাপুল বলেন, মিঠাপুকুরের ময়েনপুরে আমার বাগান রয়েছে। আমার বাগানের আম ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খেয়েছে এটা ভাবতে আনন্দ লাগছে।

আম চাষি সামছুজ্জামান বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে বিদেশে পাঠাতে পারলে চাষিরা যেমন লাভবান হবে তেমনি সুস্বাদের কারণে বিদেশে এর সুনাম বাড়বে।

রংপুর কৃৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, সরকারিভাবে এই আম ভারত, নেপাল ও ভুটানে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগ্রোভিশন এই আম পাঠালেও কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করেছে।

সুস্বাদের কারণে হাঁড়িভাঙ্গা আম সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এই আম বাজারে পাওয়া যায়। আনুষ্ঠানিভাবে হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছ থেকে পারা ও বিক্রি শুরু হয়েছে ২০ জুন থেকে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here