• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পরিচ্ছন্নতা কমিটির উদ্যোগে আজ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মস‚চির শুভ স‚চনা করা হয়। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল গাফফার মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসুচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়াারিং ও ফুড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক এস.এইস.এম. গোলাম সারোয়ার, খামার তত্ত্বাবধায়ক আহসান কবিরসহ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা সাধারণত ময়লা, আবর্জনা, বর্জ্য ও জীবাণু থেকে মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। এরকম একটি নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি এবং তা বজায় রাখা তখনই সম্ভব, যখন আমরা পরিচ্ছন্ন থাকব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পরিচ্ছনতাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের এ মহামারিতে চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করার জন্য প্রতিনিয়ত নির্দেশনা প্রদান করছেন। ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে অনুসরন করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় আরো বলেন, সামাজিক উৎকর্ষের আধুনিক ধারণায় পরিচ্ছন্নতা একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বিভিন্ন ধর্মেও পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর রয়েছে এর ব্যাপক প্রভাব। বলা হয়ে থাকে, পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্যবিধি চর্চার প্রথম মূলনীতি। শরীর, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বাসস্থান ও কর্মস্থান পরিষ্কার রেখে এবং আহার গ্রহণসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচ্ছন্নরূপে সম্পাদন করে একজন ব্যক্তি প্রকারান্তরে শরীরে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করে শারীরিক স্বাস্থ্যঝুঁকিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হন। এতে দেহের সুস্থতা ও সবলতা বজায় থাকে। তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পরিচ্ছন্নতার প্রভাব সুস্পষ্ট। পরিচ্ছন্নতা মনকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে প্রধানত দৃষ্টিগত নান্দনিকতা সৃষ্টির মাধ্যমে। দৃষ্টিগত নান্দনিকতা মনকে হালকা করে, মানসিক অবসাদ দ‚র করে এবং মানসিক প্রশাস্তি বয়ে আনে। আবার যেহেতু শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঘনিষ্ঠভাবে একে ওপরের নির্ভরশীল, পরিচ্ছন্নতার কারণে শারীরিক স্বাস্থ্যের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পরোক্ষ প্রভাব সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখান- পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মনোযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। উপাচার্য মহোদয় দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাবিপ্রবি পরিবারের সকলের অংশগ্রহণে এ ক্যাম্পাসটি একটি দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন ইতোপুর্বেও বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মস‚চি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন বর্ষা মৌসুমে যদিও ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা রাখা একটি দুরুহ কাজ তারপরও সকলের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাস পরিস্কার,পরিচ্ছন্ন থাকবে আশা করি। আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে সক্ষম হবো।

Place your advertisement here
Place your advertisement here