• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

‘বঙ্গবন্ধু থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘সর্বকালে সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তাবয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। ’

মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল সেই সব সামরিক স্বৈরশাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনো নজর দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেন তখন থেকেই ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিলেন। যার ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে। ’

বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায় চলে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী আলোচনাকালে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল অয়েল হতে পাঁঁচটি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে দেশীয় কম্পানির নিকট হস্তান্তর প্রসঙ্গে বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানির জোগানের ক্ষেত্রে এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিশাল অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা’ সন্নিবেশ করে  জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন এক অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভালোই ছিল। ধৈর্য ধরে আমাদের সাথেই থাকুন—বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ”

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি আম আজাদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তরসমূহের প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here