ঘর নাই, মাইয়ারে বিয়া দিতে পারতেছি না
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২
Find us in facebook
দীর্ঘদিন রোগে ভুগে তার স্বামী মারা গেছেন গত মে মাসে। তিনিও শারীরিকভাবে অসুস্থ। ভিটেমাটি হারিয়ে এক মেয়েকে নিয়ে এখন তার আশ্রয় হয়েছে সড়কের পাশে অন্যের জায়গায়। নিজে ঘর করা বা উপযুক্ত মেয়ের বিয়ে দেওয়া তো দূরে থাক, অভাবের সংসারে খাবার জোগানোই তাদের জন্য কষ্টের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের চৌদ্দহাত কালিতলা গ্রামে রাস্তার ধারে এমন মানবেতর জীবন যাপন করছেন বৃদ্ধ হাজেরা বেগম ও তার মেয়ে।
তার স্বামীর নাম মৃত হজরত আলী। পরিবারে তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। অভাবের তাড়নায় দুই ছেলে ও ছোট মেয়ে একদিন চলে যান ঢাকায়। সেখান থেকে বড় ছেলে চলে যান ভারতে। আর ফেরেননি। ছোট ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবার চিকিৎসায় বাড়িতে এসে মেয়ে আর যাননি। এখন মায়েন সঙ্গেই থাকেন তিনি।
জানা যায়, ছোট ছেলে শহরে এক মামলায় পড়লে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ভিটেমাটি ছাড়া জমানো কোনো টাকা নেই হজরত আলী ও হাজেরা দম্পতির কাছে। উপায় না পেয়ে ঘরসহ ভিটেমাটি বিক্রি করে ছেলেকে টাকা পাঠিয়ে দেন। এদিকে জমি দলিল করে দেওয়ার পর ছেড়ে দিতে হয় ভিটা। হাতে অবশিষ্ট কিছু টাকা ছিল, তা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সংসার ও ওষুধ খেতেই চলে গেছে। পরে কোনো উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশে অন্যের একটি জরাজীর্ণ ঘরে আশ্রয় নেন তারা।
এখানে ওঠার পর অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন চলত হাজেরা-হজরত দম্পতির। নানা রোগ আর বয়সের ভারে কয়েক মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন হজরত আলী। বাবার চিকিৎসার জন্য বাড়ি চলে আসেন মেয়ে আমেনা (২০)। জমানো টাকা দিয়ে চিকিৎসা করালেও গত মে মাসে তাদের ছেড়ে চলে যান তার বাবা। এখন বৃদ্ধ মা ও মেয়ে রাস্তার ধারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
হাজেরার মেয়ে আমেনা বলেন, আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখন আমি আর মা এখানে কষ্ট করে থাকছি। মা বয়সের কারণে কাজ করতে পারেন না। আমি চাতালে কাজ করি। যা হয় তা দিয়ে জীবন চালাই। তবে সারা দিন কাজ করে রাতের বেলায় রাস্তার পাশে থাকা খুব কষ্টের। আমাদের পেছনে সরকারি ঘর বানাচ্ছে। যদি আমাদের একটা ঘর দেয় সরকার, তাহলে মাকে নিয়ে ভালোভাবে থাকতে পারব।
হাজেরা বেগম বলেন, আমার মাইয়াটা বিয়ার উপযুক্ত। ঘর নাই, মাইয়াটারে বিয়া দিতে পারতেছি না। আমি বিয়ের কথা বললেও সে আমাক ছেড়ে যাবে না। অনেক কষ্ট করে আমরা মা-মেয়ে এখানে থাকি। রাতে ঘুম হয় না। ঘর থেকে বের হলেই গাড়ির ভয়। আমাদের একটা থাকার জায়গা দিলে উপকার হবে আমাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে হজরত চাচা মারা গেছেন। তারা অনেক কষ্ট করে চলেন। চাচা শেষ সময়ে এসে লাঠি ছাড়া চলতে পারতেন না। আমি দেখেছি তারা মুড়ি খেয়ে দিন কাটাত। আমরা মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করেছি। এখন বৃদ্ধা ও তার মেয়ে একসঙ্গে থাকেন। এটা একটা সচল রাস্তা। সব সময় যানবাহন চলাচল করে। যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাদের যদি একটা ঘর দেওয়া হয় সরকারিভাবে, তাহলে তারা ভালোভাবে থাকতে পারবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, আসলে উনারা খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন। আমরা হাজেরা চাচির জন্য সরকারি ঘরের বিষয়ে কথা বলেছি। আশা করা যায় উনারা পাবেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আসলে অনেক কষ্টের। মা-মেয়ের মানবেতর জীবনযাপন। তারা যদি প্রকৃত অর্থে ভূমিহীন হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
###ঢাকা পোস্ট
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- রংপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- রংপুরে মহানগর ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- সাদুল্লাপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
- ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- কুড়িগ্রামে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত
- কুড়িগ্রামে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বোদায় ট্রাক-ট্রাক্টর সংঘর্ষে নিহত ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- পাটপণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী
- জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা