• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারিতে খুশি ঠাকুরগাঁওবাসী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা মহামারি ও বিভিন্ন কারণে কয়েক দফায় পেছানোর পর সপ্তাহব্যাপী শুরু হয়েছে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’। সপ্তাহব্যাপী এ শুমারি চলবে ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি। দেশের মোট জনসংখ্যা কতো তা জানতেই মূলত রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ডসহ ভাসমান মানুষ গণনাসহ তাদের সম্পর্কে জনমিতিক, আর্থ-সামাজিক ও বাসগৃহসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জনশুমারি। 

তবে এবারের শুমারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস। ৩৫টি তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে। শুমারিতে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবলেট ব্যবহার করে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টারভিউ (সিএপিআই) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সহজে ও সুনির্দিষ্টভাবে শুমারির গণনা ও একাধিকবার গণনা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও গুগলে সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। 

ডিজিটাল এ শুমারি বাস্তবায়নে সারাদেশে একযোগে তথ্য সংগ্রহের জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাজীপুর কালিয়াকৈরে স্থাপিত বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের টায়ার আইভি সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টা ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার পূর্ব পর্যন্ত সংগৃহীত সব তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারিতে আনন্দের হাসি ফুটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের সব তথ্য দিতে পেরে ভোগান্তি বিহীন জনশুমারিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অপরদিকে স্বল্প সময়ে অনেক পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করতে পেরে কাজে মনযোগ বেড়েছে শুমারিকর্মীদের।

তথ্য প্রদান করার পর ঠাকুরগাঁও পৌরসভার হাজিপাড়ার বাসিন্দা আব্বাস আলী বলেন, প্রথমবারেরমতো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জনশুমারি হচ্ছে। এত অল্প সময়ে সব তথ্যগুলো দিতে পারব ভাবতে পারিনি। পরিবারের সবার তথ্য অল্প সময়ের মধ্যেই কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সংগ্রহ করে নিলেন তারা।  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মোতালেব বলেন, এর আগে কয়েকবার জনশুমারিতে তথ্য দিয়েছি। তথ্যগুলোতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যেত। আর নানা ধরনের কাগজ লাগত। আজকে মাত্র কয়েক মিনিটে সব ধরনের তথ্য দিয়ে দিলাম। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই।

তথ্য সংগ্রহকারী শুমারিকর্মী মীর রুহুল আমিন বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কোনো প্রকার ভোগান্তি ও ঝামেলা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে সব তথ্য অন্তভূক্ত করতে পারছি। এতে সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরাও কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। 

আরেক শুমারিকর্মী সাদিয়া আক্তার বলেন, জনশুমারি করার আগে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কীভাবে ডিজিটাল ডিভাইসে তথ্য যুক্ত করব তা শেখানো হয়েছে। এবার খুব সহজে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে তথ্য যোগ করতে পারছি। 

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. রব্বানী বলেন, চলমান জনশুমারিতে ঠাকুরগাঁও জেলায় আমাদের ৩৪৭৮টি ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরো জেলাজুড়ে আমাদের ৩৪৭৮ জন শুমারিকর্মী, ৬০৪ জন সুপারভাইজার ও ৩৫ জন জোনাল অফিসার কাজ করছেন। 

এবারই প্রথম ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জনশুমারি হচ্ছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে করে শুমারিকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা কাজ করছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here