• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

শেখ হাসিনার ৪২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহা. সাদেক কুরাইশী।

সভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। এটি ইতিহাসের মাইল ফলক বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু ও মাহাবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আসম গোলাম ফারুক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. নাসিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুনাম, সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপুসহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি। বাবা, মা, ভাইসহ আপনজনদের হারানো বেদনাকে বুকে ধারন করে পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়।
১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রæয়ারি ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতাদের এক দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। নানা উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। বৈরী আবহাওয়া সত্তে¡ও ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন বাংলার জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হন।  

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে সেদিন তিনি বলেন, সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। .... বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

Place your advertisement here
Place your advertisement here