• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রংপুরের শপিংমলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা মহামারিতে দুবছর পর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রংপুরে দোকান ও শপিংমলগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস ও জুয়েলারি দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। নজরকাড়া বাহারি ডিজাইন ও রকমারি পোশাকে ছেয়ে গেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলো। তবে বাজারে বিভিন্ন রকমের পোশাক এলেও দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

নগরীর সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিংমল, জেলা পরিষদ কমিউনিটি মার্কেট, গোল্ডেন টাওয়ার মার্কেট, মোস্তফা সুপার মার্কেট, সেন্ট্রাল রোড, মতিপ্লাজা, সিটি প্লাজা, ছালেক মার্কেট, হাড়িপট্টি রোড ও তালতলা রোডসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবারের মতো এবারের ঈদ বাজারেও তরুণীসহ নারীদের প্রধান আকর্ষণ নতুন কালেকশন। তবে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। তারাও মজেছেন দেশি-বিদেশি জিন্স, শার্ট আর পাঞ্জাবিতে।

রংপুর সুপার মার্কেটে আসা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার টাকায় একটি থ্রি-পিস কিনেছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে।’

ওই মার্কেটের দোকানি সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমরা বেশি দামে পোশাক কিনছি তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’
জাহাজ কোম্পানি শপিংমলে ১২৪০ টাকা দিয়ে একটি জিন্স প্যান্ট কিনেছেন শিক্ষার্থী ফাইয়াদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন পাঞ্জাবি খুঁজছি। পছন্দ হলেই কিনে নেবো।’ এবার কাপড়ের দাম বেশি বলেও জানান ফাইয়াদ।

ছালেক মার্কেটের সিনহা গার্মেন্টসের মালিক মাইদুল ইসলাম সনি বলেন, ‘সুতাসহ আনুষঙ্গিক সবকিছুর দাম বেড়েছে। মোকাম থেকে কাপড় কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে এবার দাম একটু বেশি হলেও বিক্রি মোটামুটি সন্তোষজনক।’

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কোয়ালিটির ওপর ভিত্তি করে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। অভিজাত মার্কেটগুলোতে থ্রি-পিস, শিশুদের জামা, শার্ট, জিন্স ও শাড়ি সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে শুরু করে ৫-৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে ফুটপাতসহ সাধারণ দোকান ও মার্কেটগুলোতে ৩০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে নানা ধরনের পোশাক মিলছে। সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারাও ছুটছেন বিভিন্ন স্থানে।

জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে নগরীর শালবন এলাকার আসাদুল ইসলাম বলেন, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন কেনাকাটা করতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

হাড়িপট্টি রোডের পাইকারি ও খুচরা লুঙ্গি বিক্রেতা সাঈদ হোসেন বলেন, মূলত রোজার এক সপ্তাহ আগে থেকেই ঈদের কাপড় কেনার জন্য বিভিন্ন জেলার ক্রেতারা আসছেন। এ বছর বেচাকেনা সন্তোষজনক। আরেক বিক্রেতা লিমন জানান, এবার কাঁচা বাদাম নামে মেয়েদের থ্রি-পিস বাজারে এসেছে। এরই মধ্যে তিনি ৮০০-৯০০ টাকা দরের ২০ পিসের মতো থ্রি-পিস বিক্রি করেছেন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থেকে আসা খুচরা কাপড় ব্যবসায়ী মনজু মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম অনেক বেশি। প্রতিটি শাড়িতে গত বছরের তুলনায় ১০০-১৫০ বেড়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, শহর ও আশপাশে এলাকায় ছোট-বড় মিলে প্রায় তিন হাজার পোশাক, জুতা ও কসমেটিকের দোকান রয়েছে। করোনা মহামারিতে দুই বছর এখানকার ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখেননি। তবে এ বছর সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় ব্যবসায়ীরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here