• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

শরীরে প্রোটিনের অভাব বোঝা যাবে যেসব লক্ষণে 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কোষের জন্ম হচ্ছে। এই কোষ তৈরিতে প্রোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আপনার শরীরে প্রোটিনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, কিন্তু বিষয়টিকে আপনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এর ফলে আপনার স্বাস্থ্য ভেঙে যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন আপনি।
আর তাই আমাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি যাতে না হয়, তার জন্য বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

আমাদের শরীরে যে প্রোটিনের অভাব রয়েছে, তা কতগুলো লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায়। যদি আগে থেকে এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হওয়া যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত-

ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া

প্রোটিনের অভাবে ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হয়ে যায়। এমন ধরনের সমস্যাতেও বুঝতে হবে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে চামড়ায় নানা সমস্যা তৈরি করে। ত্বক শুকনো, খসখসে হয়ে যায়, র‌্যাশ বেরোয়। অনেক সময়ে চামড়া ফেটে যায়।

শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত লাগা

প্রোটিন শরীরে এনার্জি দেয়। তাতে কাজের স্পৃহা পারে, সব সময় অ্যাকটিভ থাকা যায়। যদি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তাহলে সারাদিন ক্লান্ত লাগতে পারে। ঘুম-ঘুম ভাব থাকতে পারে। সাধারণত যে ক্লান্ত লাগে, তার থেকে বেশিই ক্লান্তি আসতে পারে। তা কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ। ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া বা সুস্থ হতে সময় লাগা ইত্যাদিও শরীরে প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ। প্রোটিন শরীরে কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীর সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগে।

পেশিতে জোর না পাওয়া

পেশি গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে প্রোটিন। যদি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তাহলে পেশিতে জোর থাকবে না। কোনো ভারী জিনিস তুলতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রোটিন আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অ্যান্টিবডি নির্মাণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। সুতরাং যখন প্রোটিনের ঘাটতি হয় তখন ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

খিদে বেড়ে যাওয়া

প্রোটিন শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। যদি শরীরে এর ঘাটতি থাকে তাহলে শরীর খিদের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে তা মেটানোর চেষ্টা করে। এবার এই খিদেটা যদি কোনো প্রসেসড ফুড বা জাঙ্ক ফুড দিয়ে মেটানো হয়, তাহলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ওজন হ্রাস করতে চাইলে হাইপ্রোটিন খাদ্য তালিকার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে খিদে বেড়ে যায়।

অল্প বয়সে বার্ধক্য এসে যাওয়া

প্রোটিনের ঘাটতি ত্বক, চুল ও নখের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে ত্বকের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হাড় এবং পেশি দুই’ই প্রোটিনের অভাবে দুর্বল হয়ে যায়। শক্তিশালী হাড়ের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত অপরিহার্য। প্রোটিন ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে যা হাড়কে শক্ত করে রাখে।

চোখ এবং হাত ফুলে যাওয়া

প্রোটিনের অভাবে দেহে ফোলাভাব তৈরি হতে পারে। আর এই সমস্যা থেকেই লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। প্রোটিন শরীরে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। আর তাই প্রোটিনের অভাবে শরীরে পানি জমতে শুরু করে, যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে শুরু করে। যে অঙ্গগুলো বেশি ফোলে সেগুলো- হাত, পা, পায়ের পাতা ও পেট। এর কারণ, রক্তের মধ্যে সংবহন হওয়া প্রোটিন, বিশেষত অ্যালবুমিন আমাদের টিস্যুতে তরল জমতে দেয় না। ফলে প্রোটিনের ঘাটতি হলেই এই পানি জমার প্রবণতা বেড়ে যায়।

নখ সাদা হয়ে যাওয়া

প্রোটিন নখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। নখ সাধারণত হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। যদি মনে হয় নখের রং অনেকটা সাদা অথবা ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিয়েছে। নখের সমস্যাও প্রোটিন শরীরে কম ঢোকার আর একটি লক্ষণ। নখ একটু বিবর্ণ হয়, লম্বা লম্বা দাগের মতো হয় নখের উপরে। বিশেষ করে হাতের নখে। সুতরাং যখন প্রোটিনের ঘাটতি হয় তখন ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here