• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ব্যক্তি স্বার্থে নিষ্ক্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানরা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষা, মামলা থেকে নিজেদের বাঁচাতে ও দীর্ঘদিন ধরে দলের তেমন কোনো কর্মসূচি না থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানরা। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সবশেষ অনুষ্ঠিত দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এ পদে সদস্য সংখ্যা ৩৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।

এরা হলেন- বিচারপতি টি এইচ খান, এম মোরশেদ খান, হারুন অর রশিদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, রাবেয়া চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, আব্দুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহম্মদ শাহজাহান, মীর নাসির উদ্দিন, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আব্দুস সালাম পিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মোসাদ্দেক আলী ফালু, ড. এম ওসমান ফারুক, রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ।

এদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা গেছেন সাদেক হোসেন খোকা।

নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় দলত্যাগ করেছেন এম মোরশেদ খান, এনাম আহমেদ চৌধুরী ও মোসাদ্দেক আলী ফালু। যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় নাম থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছেন ওসমান ফারুক।

তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় শামসুজ্জামান দুদু। তিনি সভা-সমাবেশের যেমন উপস্থিত থাকেন তেমনি টেলিভিশন টকশো-তে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও আব্দুল্লাহ-আল-নোমান অভিমানী হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন না।

আব্দুল্লাহ আল নোমান নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে কোনো কাজ করেন না। তবে দল থেকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি তা পালন করেন।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, আহমেদ আযম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ দলে কখনো সক্রিয়, কখনো নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া হাতে গোনা দু-একজন ছাড়া বাকি সবাই এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়ের দলে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, স্থায়ী কমিটির পরেই দলে ভাইস চেয়ারম্যানদের অবস্থান।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির যেমন ঘুণে ধরা তেমনি ভাইস চেয়ারম্যানদের বেশিরভাগই  নিষ্ক্রিয়। তারা তাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। দলীয় কার্যক্রমে ঠিক মতো উপস্থিত থাকেন না। যার ফলে এক প্রকার ঝিমিয়ে পড়েছেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই পদের সদস্যরা। আন্দোলন-সংগ্রামে তারা একেবারেই ঘর থেকে বের হন না। সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেই গতি। 

তিনি আরো বলেন, এসব নেতারা তাদের নিজ এলাকায় যান না। এদের মধ্যে অনেকেই অন্য দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করেন। যার ফলে দিন দিন বিএনপি তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে।

দলীয় কার্যক্রমে গতি ফেরাতে হলে ঘুণে ধরা এসব নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে বলেও মত দেন দলের এই নীতিনির্ধারণী নেতা। তিনি বলেন, মধ্যম সারির মেধাবী, তরুণ ও চৌকষ নেতাদের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিতে হবে তাহলেই দল ঘুরে দাঁড়াবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here