• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

দিনাজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৬৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়।   

মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন চয়ন চন্দ্র রায়, মিঠুন চন্দ্র রায়, অনিক রায়, লিখন রায়, আপন রায়, বিলাশ চন্দ্র রায়, রাজ কুমার, জগদীশ রায়, পংকজ রায়, মংলু রায়। তারা সবাই উপজেলার ইশানিয়া গ্রাম ও আশপাশের এলাকার।

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক রাসেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইশানিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা পার্শ্ববর্তী কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের একটি মিশন স্কুলে যাওয়ার পথে একটি ট্রাক্টরের হেলপার তাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্ত্যক্তকারী হেলপারকে আটকে রেখে ট্রাক্টরের মালিক মো. জিয়ারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করে তাকে ইশানিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডেকে নেয় শিক্ষিকার অভিভাবকরা। সেখানে হেলপারের সঙ্গে জিয়ারুলকে আটকে রেখে ওই শিক্ষিকার অভিভাবক ও এলাকাবাসী এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় হেলপার পালাতে সক্ষম হলেও আটকা পড়ে জিয়ারুল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিয়ারুল ইসলামকে পুলিশের হেফাজতে নিতে চাইলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে চালকসহ পিকআপটি পুকুরে ফেলে দেয়। 

এতে পুলিশের পিকআপচালক মোস্তাছিন ও ট্রাক্টর মালিক জিয়ারুল গুরুতর আহত হন। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্য আহতদের উদ্ধার করে বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চালক মোস্তাছিনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই বোচাগঞ্জ থানায় এসআই হাসিনুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।  

এদিকে ওই রাতেই বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ ইশানিয়া গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তালিকাভুক্ত ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার এড়াতে ইশানিয়াসহ আশপাশের এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অনেকেই। এক প্রকার পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ওই এলাকা।

ওসি আবু বকর সিদ্দিক রাসেল জানান, 'কোনো নিরপরাধ বা নির্দোষ ব্যক্তিকে পুলিশ হয়রানি করবে না। তবে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তদন্তের মাধ্যমে ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।'


 

Place your advertisement here
Place your advertisement here