কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Find us in facebook
কোরবানি ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পশু তার নামে জবাই করা হলো- কোরবানি। শরিয়তের পরিভাষায়, শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শন হলো এই কোরবানি।
কোরবানি শব্দটি ‘কুরবুন’ মূল ধাতু থেকে নির্গত। অর্থ হলো নৈকট্য লাভ করা, প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা নামাজের সঙ্গে যুক্ত করে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ
অর্থ: ‘নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ’। (সূরা: আল কাওসার, আয়াত: ১-৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,
وَالۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰهَا لَکُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَکُمۡ فِیۡهَا خَیۡرٌ فَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلَیۡهَا صَوَآفَّ فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُهَا فَکُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ کَذٰلِکَ سَخَّرۡنٰهَا لَکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ لَنۡ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوۡمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُهُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَهَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ بَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
অর্থ: ‘আর কোরবানির উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় সেগুলোর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলো কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলোকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর গোশত ও রক্ত; বরং তার কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সে সবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবির পাঠ করতে পার, এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন; সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দাও’। (সূরা: হজ, আয়াত: ৩৬, ৩৭)
স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক (সাবালক) মুসলিম যদি কোরবানি ঈদের ৩ দিন (১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত) এর মধ্যে সাহেবে নিসাব (সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্যের মালিক) থাকেন বা হন, তার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। এই নিসাব পরিমাণ অর্থসম্পদ বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। সাহেবে নিসাব তথা সামর্থ্যবান ব্যক্তি হাতে নগদ অর্থ না থাকলে আপাতত ধার করে হলেও ওয়াজিব কোরবানি আদায় করতে হবে।
যদি কারো মালিকানায় পালিত পশু থাকে আর সে ঐ পশুটিকে কোরবানি করার নিয়ত করে অথবা কেউ কোনো পশু কোরবানির নিয়ত ছাড়া ক্রয় করার পর কোরবানির নিয়ত করে, তাহলে সে ধনী হোক বা দরিদ্র হোক অর্থাৎ কোরবানি করার সামর্থ্যের অধিকারী হোক বা না হোক, ঐ পশুটিই কোরবানি করা তার জন্য জরুরি নয়। সে ঐ পশুর পরিবর্তে অন্য কোনো পশু কোরবানি করতে পারে, ঐ পশুটি বিক্রিও করে দিতে পারে।
কিন্তু কোনো পশু যদি কোরবানির নিয়তেই কেনা হয়, তার হুকুম আলাদা। কোরবানি ওয়াজিব এমন কোনো ব্যক্তি যদি কোরবানি করার নিয়তে কোনো পশু কেনে, পরে সেটি পালার জন্য রেখে দিতে চায়, পরের বছর কোরবানি দেবার নিয়ত করে বা বিক্রি করে দিতে চায়, তা তার জন্য জায়েজ।
কিন্তু তার ওপর ওই পশুর সমমানের বা ঐ পশুর চেয়ে উত্তম কোনো পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। তাই দ্বিতীয় পশু কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন প্রথম পশুটির চেয়ে কমমূল্যের না হয়। দ্বিতীয় পশুটি যদি প্রথমে কোরবানির নিয়তে কেনা পশুর চেয়ে কমমূল্যের হয়, তাহলে প্রথমটির চেয়ে যত টাকা কম, তত টাকা দান করে দিতে হবে।
আর কোরবানি ওয়াজিব ছিল না এমন ব্যক্তি কোরবানির করার নিয়তে কোনো পশু ক্রয় করলে তার জন্য ঐ পশুটি কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাই তার জন্য তা পালার জন্য রেখে দেওয়া বা বিক্রি করা জায়েজ নয়। যে বছরের কোরবানির জন্য কেনা হয়েছে, ঐ বছর কোরবানি করা না হলে, কোরবানির দিনগুলো চলে গেলে ঐ পশুটি দান করে দেওয়া আবশ্যক।
- গাইবান্ধায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সুবিধাভোগী সোয়া লাখ
- রমেক হাসপাতালে এক দালালের ৩ মাসের কারাদণ্ড
- গাইবান্ধার ৩ উপজেলার ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
- সৈয়দপুরে সাড়ে তিন কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ একজন গ্রেপ্তার
- গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- দেবীগঞ্জে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিতরণ শুরু
- অভিযানে বেরিয়ে এলো রংপুর মেডিকেলের অনিয়ম
- জাল দলিল চক্রের মূল হোতা সিআইডির হাতে গ্রেফতার
- কপাল পুড়লো পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের
- বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসছিল ছোট্ট সাদ
- টানা দাবদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি
- উলিপুরে বজ্রপাতে দর্জি নিহত
- পীরগাছায় স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল নারীর
- রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যের কারাদণ্ড
- বই পড়ার অনেক সুবিধা, তবে ১০ কারণ আপনার ধারণা বদলে দেবে
- গোল্ডেন বুট জিতলেন হালান্ড
- জটিল রোগে আক্রান্ত হজযাত্রীদের জন্য সৌদির নতুন নির্দেশনা
- বেরোবিতে গাইবান্ধা জেলা সমিতির নেতৃত্বে মোশফিকুর-শাকিল
- আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধ
- ‘প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে’
- প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার
- ইউসেপ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করছে: প্রতিমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ধাপে ভোটের মাঠে থাকছে ২ লাখ আনসার
- ঢাকার বাসগুলো দেখলে খুব লজ্জা লাগে: সেতুমন্ত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ সব আরোহীর মৃত্যু
- ভাতা প্রাপ্তিতে দুর্নীতির সুযোগ নেই: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার
- পুলিশ জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: আইজিপি
- সারাদেশে বজ্রপাতে চারজনের প্রাণহানি
- ডিজিটালাইজেশন হলেও যে কারণে সুফল পাচ্ছে না এনবিআর
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল চালকদের বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- নতুন করে রিজার্ভ চুরির খবর মিথ্যা: বাংলাদেশ ব্যাংক
- রংপুরে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- বেরোবিতে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
- ‘দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’