পানির অভাবে ৩৯ হাজার হেক্টর জমি সেচের বাইরে
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Find us in facebook
পানির অভাবে এবারো তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকায় ৩৯ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি সেচের সুবিধার আওতার বাইরে রয়েছে।
নদীতে পানির নিশ্চয়তা না থাকলেও প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। তবে পানির ন্যায্যতা নিশ্চিত ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করাকে কেবল অপচয় বলে মনে করেন নদী নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ শেষ হলে ৭০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে করে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য উৎপাদন করা যাবে।
তিস্তার পানির ওপর নির্ভর করেই ১৯৯০ সালে প্রথম দফায় কাজ শেষ হওয়ার পর ৮৪ হাজার ৩৭৮ হেক্টর কৃষি জমিতে সেচ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সে লক্ষ্যমাত্রা এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। যার মূল কারণ শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদী থাকে পানিশূন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ১৮ হাজার হেক্টর, ২০১৫ সালে ১০ হাজার হেক্টর, ২০১৭ সালে ৮ হাজার হেক্টর, ২০২০-২১ সালে ৪০ হাজার হেক্টর, ২০২৩ সালে ৪৫ হাজার হেক্টর ও ২০২৪-৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে।
এ অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম অবলম্বন প্রমত্তা তিস্তা। বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ গড়ে ২ লাখ কিউসেক থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে গড়ে থাকে ২ হাজার কিউসেক। তবে কোনো কোনো সময় তা নেমে আসে ৫০০ কিউসেকে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের জনজীবন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও প্রতিবেশ।
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের এলাকার কৃষক আবু তাহের জানান, মূল ক্যানেলে পানি না থাকায় তাদের শ্যালো মেশিনের সাহায্যে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে করে তাদের খরচ হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তিস্তার পানি পেলে খরচ হতো পাঁচশ’ টাকা।
একই এলাকার কৃষক তবারক হোসেন জানান, তিস্তার সেচ নালাগুলো পানিশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝে মধ্যে লোকজন এসে খোঁড়াখুঁড়ি করে চলে যায়। পানি কবে পাবো আল্লাহ জানেন।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী জানান, তিস্তা নদীকে বাাঁচাতে হলে সঠিক পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
তিনি জানান, নদী ড্রেজিং করে চ্যানেলে সংযুক্ত, গভীর ও জলাধারা নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া তিস্তার শাখা নদীগুলোর সঙ্গে সংযোগ ফেরাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। আমাদের আন্দোলনের মূল কথা ছিল তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। কিন্তু তা না করে ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে এতে কৃষকের কী উপকার হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমরা চাই নদীকে বাঁচাতে।
তিস্তায় পানি না থাকলে এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী এমন প্রশ্নে উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ওভারকাম করার জন্য যতটুকু পারা যায় আমরা তা করবো। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ড্রেজিংয়ের টার্গেট নিয়েছি। যেখানে নদী ৪-৫ কিলোমিটার বিস্তৃত আছে সেখানে আমরা সেটা ১৬শ’ মিটারে নিয়ে আসবো। এ পরিকল্পনার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কিছুটা হয়তো ফিরে পাবো।
রিভারাইন পিপলসের রংপুরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তার পানি নিশ্চিত করা না হলে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পেছনে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, তা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, এটা একটা অপরিকল্পিত কাজ। তিস্তা সেচ প্রকল্প বৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে, এটাতো শুভঙ্করের ফাঁকি। কারণ এখানে পানি কোথায়? এক খাল সংস্কারের ভেতর দিয়ে যে ধান উৎপাদনের উৎসাহিত করা হচ্ছে বা যে জমিগুলো ভুট্টা হতে পারে, মরিচ ও আলু হতে পারে। আমাদের এসব কাজে উৎসাহিত করতে হবে।
তিস্তা সেচ প্রকল্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার প্রকল্পের কাজ এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ শেষ হলেও পানির অভাবে বাড়াতে পারেনি প্রকল্পের পরিধি। সে কারণেই প্রশ্ন ওঠছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কিংবা পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত না করে এ প্রকল্পে এত টাকা কী কাজে আসবে।
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- নিরাপদ খাদ্য পেতে গণসচেতনতা জরুরি
- দিনাজপুরে তীব্র গরমে ধস নেমেছে টমেটোর বাজারে
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় পৌর বিএনপির সভাপতি জেল হাজতে
- শ্রমজীবীদের পানি ও খাবার স্যালাইন দিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ
- দিনাজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
- সাদুল্লাপুরে হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
- ডোমারে রেড ক্রিসেন্টের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
- পলাশবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার আশা কৃষকের
- নীলফামারীতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সভা
- বীরগঞ্জে তীব্র তাপদাহে চরম দুর্ভোগে প্রাণিকূল
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির আশায় দেওয়া হলো ব্যাঙের বিয়ে
- বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল কিশোরের
- তীব্র খরায় রংপুরে ঝরছে আমের গুটি
- গরমে যেসব উপকার পেতে আনারস খাবেন
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- দিল্লিকে সহজেই হারাল কলকাতা
- শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
- মিনিটেই নকল ‘স্মার্ট কার্ড’, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- পেরুতে বাস খাদে পড়ে ২৫ জনের মৃত্যু
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
- পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে
- যেমন যাবে আজকের দিনের আবহাওয়া
- মোংলা একসময় বাতির নিচে অন্ধকার ছিল: মেয়র আব্দুল খালেক
- রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু মঙ্গলবার
- রাত ৮টার পর শপিংমল-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের