• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বদরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জে আতিকুর রহমান আশিক (৩৭) নামের এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পারিবারিক সালিস বৈঠকে স্ত্রীর সঙ্গে বাবার সস্পর্ক নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে তাকে পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দেন তার বাবা ও ছোট ভাইসহ পরিবারের লোকজন। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান আশিক নিজ এলাকায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। বেশ কিছুদিন থেকে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়। গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে আবারও সালিস বৈঠকে বসেন আশিকের বাবা, ভাই ও ফুফুসহ পরিবারের লোকজন। ওই বৈঠক চলাকালে আশিক তার বাবা ও স্ত্রীকে জড়িয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করে গালিগালাজ করেন। এরই জেরে আশিকের বাবা ফজলুল হক ও ছোট ভাই আশরাফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে আশিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়। পরে ফজলুল হক, আশরাফুল ও আশরাফুলের স্ত্রী হাসমত আরা বেগম আশিককে তুলে নিয়ে ঘরের ভেতরে যায়। তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে প্রচার করেন আশিক আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ পরের দিন শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে আশিকের শ্বশুর আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ওইদিনই অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে গত শনিবার গ্রেফতার চার আসামিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে. এম হাফিজুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে আতিকুর রহমানকে হত্যার বিবরণ তুলে ধরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।

এর আগে গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসামত বসন্তপুর গ্রাম থেকে আশিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আশিক ওই এলাকার ইউপি সদস্য ফজলুল হকের ছেলে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here