• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

২২ বছর পর কৃষকদলের নতুন কমিটি, জানেন না খালেদা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

দীর্ঘ ২২ বছর পর নতুন কমিটি পেলো কৃষকদল। তবে এবারো খালেদা জিয়াকে না জানিয়ে এ কমিটি গঠন করেন তারেক রহমান, যা নিয়ে দল ও রাজনৈতিক মহলে রীতিমত বইছে সমালোচনার ঝড়।

বয়সের খাতায় যতই সংখ্যা যোগ হচ্ছে, ততই যেন দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। একের পর এক মিলছে তারই প্রমাণ। এর আগে তাকে না জানিয়ে সৌদি আরব বিএনপি, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ও ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর এবার ঘোষণা করা হলো কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি।

কমিটিতে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলাম বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুমোদিত ওই কমিটির অন্য পদগুলোতে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন এমপি ও দফতর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম।

কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি যেটা করেছি, সেটা তারেক রহমানের নির্দেশনাতেই করেছি। এখন তিনি খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সে তথ্য আমার কাছে নেই। যদি জানতে পারি, তবে আপনাদের জানাবো।

এ বিষয়ে খালেদার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচররা বলছেন, খালেদা জিয়া অনেক বিশ্বাস করে দলের ভার তারেকের উপর দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ম্যাডামের (খালেদার) বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। নিজস্ব সাম্রাজ্য গড়ে তুলে ক্রমেই দলীয় নেত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। যার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দলীয় বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী দিনে। সেদিন ব্যানারে কোথাও খালেদা জিয়া ছবি ছিল না। এখানেই শেষ নয়, তিনি ম্যাডামকে না জানিয়ে একের পর এক কমিটি ঘোষণা করে চলেছেন। যাদের কাছ থেকে টাকা বেশি পাচ্ছেন, তাদেরকেই তিনি কমিটিতে ঠাঁই দিচ্ছেন। সে যোগ্য হোক আর অযোগ্য হোক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের মহানুভবতায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পর থেকেই তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার নীরব রেষারেষি চলে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দলের বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত এখন স্বৈরাচারীভাবে তারেকই নেন। গর্ভধারিণী মা ও দলীয় চেয়ারপার্সনকে জানানোর প্রয়োজনটুকুও বোধ করেন না। এ থেকে তাদের মধ্যকার ও দলীয় দ্বন্দ্ব সুস্পষ্ট হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here