• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সরকারি নির্দেশনা ‘অমান্য করেই’ বিএনপির সমাবেশ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দে‌শে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এতে উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

তবে এরই মধ্যে সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি, যা ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। 

বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিএনপি ৩৭ জেলায় যে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এই সময়ের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। গোটা জাতিকে এর ফল ভোগ করতে হবে। আর সে দায় বিএনপি কীভাবে এড়াবে?

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, দেশে যখন আবারো করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি এবং তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। ঠিক তখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিএনপি এসব বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই ১২ জানুয়ারি রাজশাহী, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটে সমাবেশের আয়োজন করেছে। 

পাশাপাশি ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর এবং বাগেরহাট; ১৭ জানুয়ারি রাঙামাটি, নেত্রকোনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা; ১৯ জানুয়ারি ময়মনসিংহ; ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নাটোর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, শরীয়তপুর; ২৪ জানুয়ারি ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার এবং পঞ্চগড়ে সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে।

তবে এসব সমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি কতোটা মানা হবে, তা নিয়ে সংশয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারা বলেন, সরকার জনস্বার্থে বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও বিএনপি তা না মেনে তাদের কর্মসূচি চালালে করোনা সংক্রমণের দায় তাদেরই নিতে হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঘোষিত সমাবেশ কর্মসূচি চলবে। কোনোভাবেই বন্ধ হবে না। এসব সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। প্রত্যেক জেলার জন্য এরই মধ্যে পৃথক কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার যতই বিধিনিষেধ আরোপ করুক, আমরা আমাদের সমাবেশ অব্যাহত রাখব। আর এ নির্দেশ দলের অধিকর্তা তারেক রহমানের। তার নির্দেশ অমান্য করি কিভাবে!

বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকার যখন দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিস্থিতিতে জনমানুষের সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে, ঠিক তখনই বিএনপির জেলায় জেলায় সমাবেশ করাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈ অন্য কিছু নয়। কারণ, তারা চাইছে সমাবেশের মাধ্যমে লোক সমাগম করতে। আর সেখান থেকেই করোনা মহামারি রূপ নেবে। এতে চাপে পড়বে সরকার। আর তারা সেই সময়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে তারা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here