– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
  • শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩০

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর দিনাজপু‌রে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর রংপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি ‘সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন ঘটছে’ অপহরণ নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২

দাফনের সময় খবর আসে জিপিএ-৫ পেয়েছে মামুন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘ছেলে রেজাল্ট দেখে যেতে পারলো না। এর আগেই আত্মীয়-স্বজন সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল। আমার ছেলে খুবই মেধাবী ছিল।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা মোস্তফা জামান।

আব্দুল্লাহ আল মামুন চলতি বছর রংপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে। শুক্রবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মামুন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে যখন পাসের উল্লাসে অন্যরা আনন্দে মেতে ওঠে, ঠিক তখন মামুনকে কবরে সমাহিত করা হয়।

পরীক্ষার ফলাফল জানার আগেই মামুন মারা যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তারা বাবা মোস্তফা জামান জানান, মামুন দীর্ঘদিন ধরে রক্তশূন্যতায় ভুগছিল। অসুস্থতার কারণে গত ২৫ জুন মামুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে হিমোগ্লোবিন কম ছিল। এ কারণে রক্ত তৈরি হতো না। এছাড়া অন্য কোনো রোগ ছিল না মামুনের। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেশের বাইরের নেয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই ছেলেটা চলে গেল।

আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রামের বাড়ি রংপুররে তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামনদিঘি এলাকায়। তার বাবা মোস্তফা জামান এবং মা আরজিনা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে মামুন বড়।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তারাগঞ্জ উপজেলার ডাংগিরহাট বামনদিঘি গ্রামের খিয়ারদিঘি কবরস্থানে মামুনকে সমাহিত করা হয়েছে নিশ্চিত করেছে।

রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল ইমরান জানান, মামুন খুবই মিশুক ছেলে ছিল। পরীক্ষায় সে ভালো ফলাফল করেছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ফলাফল জানতে পারল না।

জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সাহিনা সুলতানা বলেন, আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। শিক্ষক হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে আমরা শোকাহত।

Place your advertisement here
Place your advertisement here