বিশ্ব কি লিপ্ত হচ্ছে ধর্মযুদ্ধের হানাহানিতে?
দৈনিক রংপুর
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯

Find us in facebook
(লেখক : বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী )... বাংলাদেশে ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল তাদের মাত্র দু’জন বাদে সবাই বিদেশে লেখাপড়া করেছিল। মানে অধিকাংশই ধনী ঘরের সন্তান। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। শ্রীলঙ্কায়ও প্রায় একই অবস্থা, সবাই উচ্চ-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। হামলাকারীদের একজন ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলো। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি হামলার দায়িত্ব ইসলামিক স্টেট স্বীকার করেছে, হামলাকারীদের শপথের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সরকারও এ হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে মনে করে, যদিও হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত আটজনের সবাই দেশি। এখানেও হলি আর্টিজানের সঙ্গে মিল আছে। শ্রীলঙ্কায় যারা মারা গেছে তারা অধিকাংশই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। বিদেশিও কম নেই। তিনটি অভিজাত হোটেল সে টার্গেট নিয়েই আক্রমণ করা হয়েছে। মৃতের মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি নাগরিক, অন্য ১৪ জন নিখোঁজ। মৃতের মধ্যে অন্তত আট ব্রিটিশ নাগরিক, ১১ জন ভারতীয় এবং ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন।
শ্রীলঙ্কায় বিদেশিরা মুসলমানদের শত্রু ছিল না। তাদের খ্রিস্টানদের সঙ্গেও মুসলমানদের সম্পর্ক ভালো। দুই গোষ্ঠীই সংখ্যালঘু। মুসলমানদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সমস্যা ছিল, তামিলদেরও সমস্যা ছিল যারা অধিকাংশই হিন্দু কিন্তু খ্রিস্টানদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই। বাংলাদেশেও বিদেশি নাগরিকদের প্রতি কারও শত্রুতা নেই। কিন্তু আইএস সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা ভিন্নধর্মী বিদেশিদের হত্যা করেছে। দেশের জন্য বদনাম কুড়িয়েছে। এখন বলা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে নাকি শ্রীলঙ্কার ক্যাথলিক গির্জায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার জঙ্গিরাও যদি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এই হত্যা চালায় তা অবিশ্বাসের নয়।
শ্রীলঙ্কার ‘জামায়াত আল তাওহিদ আল ওয়াতানিয়া’ এ হামলা চালিয়েছে বলে সবার বিশ্বাস। সংগঠনটি ক্ষুদ্র হলেও তার নেতা মোহাম্মদ জাহারান নাকি মোটামুটি পরিচিত উগ্রপন্থি একজন নেতা। তিনি নাকি শ্রীলঙ্কা এবং ভারতে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর তিনি যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কার কাছে এ হামলা সম্পর্কে আগাম বার্তা দিয়েছিলো। এ বার্তা ভারতীয় হাইকমিশন অফিস আক্রান্ত হওয়া সম্পর্কেও সতর্কবার্তা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার্চ এবং পাঁচতারকা হোটেল আক্রান্ত হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশন অফিস আক্রান্ত হয়নি। তবে অমিত শাহরা যেভাবে লোকসভা নির্বাচনের পরে মুসলমানদেরকে পাকিস্তান কিংবা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে ভারতীয় হাইকমিশন অফিস আক্রান্ত হলেও এই সময়ে অস্বাভাবিক মনে হতো না।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে রাষ্ট্রের আর মানুষের জীবনে ধর্মই ছিল প্রধান জিনিস, কিন্তু ধীরে ধীরে তা তিরোহিত হয়ে গিয়েছিলো। এখন এক অশুভ চক্র ধর্মকে পুনরায় রাষ্ট্রজীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, যা পৃথিবীটাকে ধর্মীয় দ্বন্দ্বের মাঝে ঠেলে দিচ্ছে। ভারতে গত পাঁচ বছরব্যাপী আমরা দেখছি মুসলমানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে। এক গো-মাংস নিয়ে কত মানুষকে হত্যা করা হলো। সমগ্র মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ‘লাথির কাঁঠাল বানানো হয়েছে।
আইএস এখন মধ্যপ্রাচ্যে খেলাফতহারা। কয়েক বছর আগে থেকে বাংলাদেশ-ভারত অঞ্চলে তারা তাদের ঘাঁটি করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। ভারতে ৩০ কোটি জনগোষ্ঠীর একটা জাতিকে পদে পদে অপমান করা হলে আইএস তাদেরকে ব্যবহার করে তাদের হিংসাত্মক কার্যক্রম চালানো কঠিন না। অনেক মুসলিম যুবক আছে প্রতিশোধপরায়ণ হবে। যদি বর্তমান শাসক সম্প্রদায় আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতাসীন হয় তবে ভারতেও বহু মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম হবে, আইএস সহজে সেখানে ঘাঁটি করবে।
দুনিয়ার মাঝে মুসলমানরা এখন একমাত্র জাতি, ধর্মীয় উগ্রতায় যারা আত্মহননে দ্বিধা করছে না। যারা মৃত্যুকে পরোয়া করছে না, তারা তো অপমানের প্রতিশোধ নেবেই। কাশ্মিরে তো তাই হচ্ছে। বাংলাদেশ বহু কষ্টে জঙ্গির উত্থান থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলছে। ভারতকে জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষার জন্যও সহায়তা প্রদান করেছে। উলফা যোদ্ধাদেরকে বাংলাদেশের মাটি থেকে হারিয়েছে এবং উলফা নেতাদেরকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। এখন আসাম যে নিরুপদ্রব রয়েছে তাতে বাংলাদেশের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করে চলে। এখন ভারত মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে যেভাবে কথাবার্তা বলছে, আসামে কয়েক পুরুষ ধরে বাস করা নিজের জনগোষ্ঠীকে অনুপ্রবেশকারী বানিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর যে পরিকল্পনা করছে, তাতে সন্দেহ হয় আবার বাংলাদেশসহ এ উপমহাদেশের সর্বত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হবে কিনা। আইএস রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকেও সহজে দলে ভেড়াতে পারে।
ইসরায়েল এবং আমেরিকাও পৃথিবীতে ধর্মীয় উগ্র জঙ্গীগোষ্ঠী সৃষ্টিতে সহায়তা করছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করেছিলো। এ দুই এলাকা জর্ডান এবং সিরিয়ার জায়গা। তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলো অথচ সম্প্রতি পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমকে ইসরায়েল নিজেদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে এবং জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকা ইসরায়েলের এ ঘোষণাকে মেনে নিয়েছে এবং তেল-আবিব থেকে তার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেছে।
আবার সিরিয়ার গোলান মালভূমিকেও ইসরায়েল তার অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছে আর আমেরিকা তার স্বীকৃতি দিয়েছে। আবার এক সুদূরপ্রসারী দুরভিসন্ধি নিয়ে আমেরিকা ইরানের সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসী বাহিনী বলে ঘোষণা দিয়েছে। একটা দেশের একটা নিয়মিত বাহিনীকে সন্ত্রাসী বাহিনী বলার পেছনে কী ষড়যন্ত্র আছে। অর্থাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মূল করার জন্য ইসরায়েল-আমেরিকা ইরান আক্রমণ করার পথ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এখন ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহ আর গাজার হামাসকে অর্থ অস্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করবে আর মধ্যপ্রাচ্য আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠবে। এইভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। এতে বড় রাষ্ট্রের সহায়তা স্পষ্ট।
আমেরিকার কয়েকজন প্রেসিডেন্ট চেষ্টা করেছিলেন দু-রাষ্ট্রভিত্তিক ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান করতে। কাটার, ক্লিনটনের চেষ্টায় তা একটা রূপও পরিগ্রহ করেছিলো। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন সবকিছু হ-য-ব-র-ল করে দিলেন। দুনিয়ার বড় বড় সমস্যা যতক্ষণ সুষ্ঠু সমাধানে না পৌঁছবে ততক্ষণ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ বন্ধ হবে না। দিনে দিনে দুনিয়াটা সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হবে। দুনিয়ার এক প্রান্তে থেকেও আমেরিকা তার টুইন টাওয়ার সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দৃশ্যের অবতারণা হবে।
- আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায় বিচার পাবেন: ইসি সচিব
- অর্থনৈতিকভাবে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
- জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত
- গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান
- আজ বেগম রোকেয়া দিবস
- আসছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা নামবে ১০ ডিগ্রিতে
- ডিসেম্বরেই ৪৩তম বিসিএসের ফল
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা
- বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রংপুরের নতুন কমিটি গঠন
- প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন গাড়িতে শেখ হাসিনা
- চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা
- শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দিনাজপুরে আটক ১৮, বহিষ্কার ১৮
- দিনাজপুরে কিডনি ডায়ালাইসিসে খরচ বেড়েছে হাজার টাকা
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুড়িগ্রামে আটক ১২, বহিষ্কার ৩
- লালমনিরহাটে ১৩ পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ, বহিষ্কার ১৬
- দেশের ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত
- বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত: রাষ্ট্রপতি
- সিরাজগঞ্জে নানা আয়োজনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উৎসব উদযাপন
- বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি কমালো চীন
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং
- পঞ্চগড়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৫জন গ্রেফতার
- রংপুরের ৩৬টি কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টাকালে ১জন গ্রেফতার
- জুমার দিন ও সালাতের গুরুত্ব
- এক উইকেট হারিয়ে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
- হিন্দি সিনেমায় জয়া আহসানের অভিষেক আজ
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা
- ওসমানী বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি সোনাসহ আটক ৪
- রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে নৌকার মাঝি হলেন যারা
- দেবীগঞ্জে দীপাবলির রাতে আগুনে পুড়লো ৩ ঘর
- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী
- রংপুরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৯
- বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রভাব নেই রংপুরে
- ‘বাস পুড়িয়ে ও মানুষের ওপর জুলুম করে ক্ষমতায় আসা যায় না’
- সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা
- সারাদেশে র্যাবের ৪৬০ টহল দল
- ঘোড়াঘাটে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা
- রমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল
- বিরলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
- নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- বিয়ের আগের দিন বা রাতে বর-কনের যা করা উচিত নয়
- লালমনিরহাটে ১৩ পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ, বহিষ্কার ১৬
- কুড়িগ্রামে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
- ঢাকা-কক্সবাজার পথে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
- নির্বাচন কমিশনে অ্যাপ চালু, মুহূর্তেই জানা যাবে ভোটের খবর
- নীলফামারীতে ১৮টি বিদ্যালয়ে খেলনা উপকরণ বিতরণ
- গাইবান্ধা-১ আসনে মায়ের বিপক্ষে লড়বেন মেয়ে!
- দিন ভালো যাচ্ছে না হিরো আলমের